গভীর রাতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের দল বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্তের কাটাতার টপকে ঢুকে পড়ছে ভারতের গ্রামে। গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়ে লুঠ করছে গরু, ছাগল ও টাকাপয়সা। ভোরের আলো ফোটার আগে তারা গরু ও ছাগলগুলি স্থানীয় দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে বিহারে পাচারের ব্যবস্থা করে মোটা টাকা নিয়ে ফের বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চৈনগর, বিষ্ণুপুর ও নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা গ্রামে এ ভাবে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী দল তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর দাবি, গত দুসপ্তাহে তিন পঞ্চায়েত এলাকার ১০ পরিবারের ৩০টি গরু ও ছাগল সহ ৩০ হাজার টাকা লুঠ হয়েছে। আরও অভিযোগ, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা লুঠপাটের পর পুলিশে অভিযোগ করা হলে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দিয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে হেমতাবাদে নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ রাহা বলেন, “সীমান্তে নজরদারির অভাবে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের মদতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে লুঠ চালাচ্ছে। বিএসএফে ভরসা ছেড়ে পুলিশের কাছে এসেছি।” বিএসএফের ১৩৪ ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ড্যান্ট অরুণ সিংহ রাঠোর বলেন, “বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নিয়ে অভিযোগ কেউ করেননি। সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভলাগি জানান, চোরা কারবার ও অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যটেলিয়ন কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফের আইজিকে চিঠি দিয়ে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কোন কোন দুষ্কৃতী বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |