অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল সদ্য তরুণ পাঁচ ছাত্র। অপহৃত কিশোর তাপস হালদার (১৪) তাদের চিনে ফেলায় তাকে খুন করে তারা, এই অভিযোগে ওই পাঁচ ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মালদহের বামনগোলার এই ঘটনায় ধৃতেরা অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। মুক্তিপণের টাকায় মোটরবাইক ও ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা ছিল, জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে তারা।
মালদহের বিদায়ী পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তাপস ওদের চিনে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সহদেবের বাড়ির পাশে এক পরিত্ত্যক্ত বাড়িতে দেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধার করা হয়।”
বামনগোলা হালদারপাড়ার বাসিন্দা তাপসের বাবা মাধাই হালদার পেশায় মৎস্যজীবী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তাপস। সেই রাতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। তাপসের পরিজনেরা জানান, মুক্তিপণের টাকা কখন কোথায় দিয়ে আসতে হবে, তা তাপসের দাদা মলয়বাবুর মোবাইলে এসএমএস করে জানানো হত। কিন্তু মলয়বাবু এসএমএস পাঠাতে পারেন না। তখন তাঁদের প্রতিবেশী, জগদলা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সহদেব হালদার বারবার এসে দেখিয়ে দিয়েছে, কী ভাবে এসএমএসের উত্তর দিতে হয়।
তাপসের মা পার্বতীদেবী বলেন, “সহদেবকে কখনও সন্দেহ করিনি। অপহরণকারীরা শেষে কেন্দপুকুরের কাছে টাকা রেখে এসে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে।”
সাদা পোশাকের পুলিশ নির্দিষ্ট জায়গায় ওঁত পেতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাপসের জামাইবাবু ও দাদা গাড়ি থেকে টাকা ফেলে এগিয়ে যেতেই দু’জন সেই টাকা নিতে যায়। তখনই পুলিশ ধরে ফেলে বিপিন সিকদার ও অসিত বিশ্বাস নামে দাল্লা চন্দ্রমোহন বিদ্যামন্দির স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ওই দুই ছাত্রকে। তাদের জেরা করেই ধরা হয় সহদেব, পাকুয়াহাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সুদীপ বসু ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রঞ্জয় বিশ্বাসকে। |