পর্যটকদের টানতে রাজবাড়িতে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু করার পাশাপাশি শহরের একাধিক দিঘির সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। এই বিষয়ে জেলা-কর্তাদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক এবং বাস্তুকারদের প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনার রুপরেখা চূড়ান্ত করতে এ মাসেই বিশেষজ্ঞ বাস্তুকাররা জেলায় পরিদর্শনে আসবেন।
সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সঙ্গে শহরের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে দোতলা বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দফতর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজবাড়িতে বাংলা ও হিন্দিতে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু করতে চাই। বৈরাগীদিঘি, সাগরদিঘি, মদনমোহনের বাড়িকে নিয়ে প্যাকেজ হবে। সেই সঙ্গে শহরে দোতলা বাসও চালানো হবে।” বর্তমানে নিগমের যে দোতলা বাস কোচবিহারে চলে সেটির যন্ত্রাংশ পুরোনো বলে তেলের খরচ বেশি হচ্ছে। সে কারণেই নতুন বাসের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাজার বাড়ি, সাগরদিঘি, বৈরাগীদিঘি, মদনমোহনের বাড়ি পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ। রাজবাড়ির ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু নিয়ে প্রাথমিক ভাবে ৮০ লক্ষ টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সন্তুষ্ট হতে না পেরে ভিন রাজ্যের কয়কটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। মদনমোহন বাড়ি সৌন্দর্যায়নে পর্যটন দফতরের বরাদ্দে বেশ কিছু কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে মদনমোহন মন্দির চত্বরের যাতায়াতের রাস্তা নতুন ভাবে তৈরি, ফুল বাগান, শৌচাগার তৈরির মতো বিষয় আছে। সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার, ফিসিং চেয়ার বসিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা ও সবুজায়ন বাড়ানোর মতো একাধিক প্রকল্প নিয়ে একটি সংস্থার সঙ্গে পিপিপি মডেলে কাজ শুরুর প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে। রাজবাড়ি সংলগ্ন পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “বিস্তারিত প্রকল্প তৈরি করে তা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হবে।” রাজ্য পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রকল্প কাজ সম্পূর্ণ হলে এই জেলায় পর্যটক আকর্ষণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।” |