রাস্তা সংস্কার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে পরে তা নির্বাচিত কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিঙে পাশ করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বাম কাউন্সিলরদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠাতার জোরে বোর্ড মিটিঙে সিদ্ধান্ত পাশ হয়। পুরসভার তৃণমূল চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা বলেন, “বোর্ড মিটিঙে উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ ঠিক নয়। নিয়ম মেনেই কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে।” এ দিন শহরের ১২টি পাকা রাস্তা সংস্কারে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছাড়াও মাতৃসদনে ২ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ এবং পুরসভার এক কর্মীর কাজ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার মোট ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৪টি এবং বামেদের দখলে রয়েছে ১১টি ওয়ার্ড। তিন মাস আগে বালুরঘাট পুরসভার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল। এ দিন বিকেলে নির্বাচিত পুর কাউন্সিলারদের নিয়ে যে বোর্ড মিটিং হয় তাতে তৃণমূলের পক্ষে ১৩ এবং বামের তরফে ১০ কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে উন্নয়ন প্রকল্প ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ম না মানার অভিযোগ তুলে সরব হন বাম কাউন্সিলারেরা। আরএসপি কাউন্সিলার প্রলয় ঘোষ এবং সিপিএমের অরিজিত চন্দ জানান, ১২টি রাস্তা সংস্কারের জন্য পুরকর্তৃপক্ষ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩১ জানুয়ারি টেন্ডার করে ফেলেন। পুর আইনে রয়েছে, চেয়ারম্যান ক্ষমতা বলে ২৫ হাজার টাকা এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কোনও প্রকল্পে খরচ করতে পারেন। কিন্তু বেশি টাকার প্রকল্পে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে সভার মাধ্যমে প্রস্তাব না নিয়ে টেন্ডার ও বরাত দেওয়া যায় না। কেননা, ওই ১২টি রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে এক একটি রাস্তার জন্য আড়াই থেকে ৪ লক্ষ টাকা মেরামতির খরচ ধরা হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ, মাতৃসদনে শূন্য পদে দু’জন এএনএম (স্বাস্থ্য কর্মী) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ ১৮ জানুয়ারি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করে গত ২৫ জানুয়ারি নিয়োগ করে ফেলেন অথচ এ দিন সভা থেকে সরকারি ভাবে তা পাশ করানো হলা। পুরসভার এক কর্মীর কাজের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই বিষয় হয়েছে। তাই পুরসভা কর্তৃপক্ষকে পদ্ধতি মেনে কাজ করতে হবে বলে বাম কাউন্সিলারেরা দাবি করেছেন।
চেক বিলি। দক্ষিণ দিনাজপুরের ৫৪৯ স্কুল ছাত্রীকে ৫০০ টাকার বার্ষিক অনুদান বাবদ ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকার চেক বালুরঘাটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের হাতে তুলে দিলেন জেলাশাসক তাপস চৌধুরী। কন্যাশ্রী প্রকল্পে শুক্রবার। তিনি বলেন, “এই অর্থবর্ষে জেলায় ৪০ হাজার স্কুল ছাত্রীকে ৫০০ টাকা বার্ষিক অনুদান ও ২ হাজার ছাত্রীকে ২৫ হাজার টাকার এককালীন অনুদান দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে এই খাতে এ জেলার জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ৪ কোটি ৬২লক্ষ ৪৭হাজার ৫০০ টাকা। |