শিলিগুড়িতে গাড়ির মধ্যে মহিলাকে গুলি করে খুন করার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার বেশি কেটে যাওয়ার পরেও অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলার মতো পরিস্থিতি আসেনি বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
ওই মহিলা রিনা ঘোষ ওরফে মান্নুকে গুলি করে হত্যা করার পর দুদিন ধরে একাধিক সম্ভাবনা ঘোরাঘুরি করলেও ধোঁয়াশা কাটছে না। রিনা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত শেষ যে ব্যক্তির সঙ্গে থাকতেন সেই পীযূষ ঘোষও পুলিশকে বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি। পুলিশের ধারণা পীযূষবাবু লোভে পড়ে স্বল্প পরিচয়েই রিনাকে ঘরে এনে তোলেন। তাঁর পয়সাতেই তাঁদের পরিবারের রোজকার বিলাসিতা চলত। তবে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন মান্নু ওরফে রিনা। পুলিশের দাবি, তার আগেই খুন হওয়ায় তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে বলে পীযূষ আক্ষেপ করেছেন পুলিশের কাছে।
পুলিশেরই একটি সূত্রের আবার দাবি, নিহত মহিলা পুলিশের হয়ে তথ্য সরবরাহের কাজ করছিলেন। তবে ওই মহিলা নিজেকে রেলের বাতিল জিনিস কেনা বেচার ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিলেও আসলে সে ওই ধরণের কোনও কাজ করত না বলে পুলিশের সন্দেহ। পুরো বিষয়টি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তিনি প্রচার করছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। ২০০২ সালে মাদক পাচারে জড়িয়ে ছ’মাস জলপাইগুড়ি জেলেও ছিলেন নিহত রিনা। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন অবশ্য এখনই কোনও কথা বলার মত পরিস্থিতি আসেনি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা সবরকম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধীকে গ্রেফতার করা হবে।” গত বুধবার শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসে নিজের গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন রিনা। দু’জন বাইকআরোহী মুখ ঢেকে এসে তাঁকে গুলি করে। |