উত্তরবঙ্গে বসেই সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র তৈরির জন্য শিলিগুড়িতে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যসোসিয়েশন (ইমপা)-এর একটি শাখা খোলা হল। শুক্রবার শিলিগুড়ির জংশনের একটি হোটেলে নতুন শাখা খোলার ঘোষণা করা হয় ইমপার পক্ষ থেকে। ১ এপ্রিল ২০১৪ থেকে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করে দেবে ইমপার স্থানীয় কমিটি। এর ফলে স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা শিলিগুড়িতেই চলচ্চিত্র নথিভুক্তকরণ থেকে শুরু করে মুক্তি পর্যন্ত সমস্ত কাজ করতে পারবেন বলে দাবি করেন ইমপার সহ সভাপতি কৃষ্ণ দাগা। এ দিনের ইমপার সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ও ইমপার চেয়ারপার্সন প্রিয়া সেনগুপ্ত।
কৃষ্ণবাবু বলেন, “ইমপার সদস্যপদ যারা নেবেন না, তাঁদের করা চলচ্চিত্র ইমপার সদস্য থাকা কোনও পরিবেশক পরিবেশনা করবেন না। স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এই উদ্যোগে খুশি ইমপার চেয়ারপার্সন প্রিয়াদেবীও। তিনি বলেন, “ইমপার নতুন শাখা খোলা হল শিলিগুড়িতে। এখানে নতুন কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে স্থানীয়রাই থাকবেন। এই কমিটির কাজ কর্ম দেখার জন্য ও যোগাযোগ রাখার জন্য কলকাতাতে একটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে।”
উত্তরবঙ্গের সিনেমা যাতে স্থানীয় সিনেমা হলে মুক্তি পায় তার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার দিবি জানিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির চলচ্চিত্র নির্মাতারা। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যার মত প্রথম ছবি নির্মাণে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। শুক্রবার শিলিগুড়ির জংশন এলাকার একটি হোটেলের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক ও পরিচালকদের নিয়ে হওয়া সভায় এই দাবি তোলেন তাঁরা। বাম আমলে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বনাশ ঘটে গিয়েছে বলে অভিযোগও ওঠে সভায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলচ্চিত্র আশা দেখাচ্ছে চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের বলে এদিনের সভায় জানান শিলিগুড়ির এক চলচ্চিত্র নির্মাতা।
অনুষ্ঠানে এসে নির্মাতাদের বিভিন্ন দাবি মন দিয়ে শোনেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “সমস্ত দাবি যথাযথ। এ বিষয়ে কি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।” এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় স্থানীয় ছবির জন্য কিছু সিনেমা হল সংরক্ষণের আর্জিও ওঠে। শিলিগুড়ির এক চলচ্চিত্র নির্মাতা তারাচাঁদ ধানুকা বলেন, “অন্য কয়েকটি রাজ্যে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। বাংলাতেও এটি চালু হলে অল্প বাজেটের ছবি গুলি খরচের টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসতে পারবে।” শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে খুব শীঘ্রই ফিল্ম সটির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মন্ত্রী এদিন আশ্বাস দেন। এর আগে ২০১২ তে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী এবং মণি মজুমদার ওই জায়গাটি চিহ্নিত করেন। এর পরে গৌতম দেব চেয়ারম্যান হওয়ার পরে এলাকাটিকে ফিল্ম সিটির উপযোগী করে করে গড়ে তোলার ব্যপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। |