সহবাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও গায়ে আগুন দেওয়ার জন্য প্রেমিককেই দায়ী করল ওন্দার সেই নাবালিকা। বিয়ে করা নিয়ে প্রেমিক ও বাড়ির লোকজনের মধ্যে মতান্তরের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় অগ্নিদগ্ধ হয় ওন্দা থানা এলাকার ওই স্কুল পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার নাবালিকার বাবা প্রেমিকের বিরুদ্ধে মেয়ের সঙ্গে সহবাস করা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগে পুলিশ কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক, তাঁর মা ও এক মামাকে সে দিন গ্রেফতার করেছে।
এ দিকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি থাকা ওই কিশোরী জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ তার জবানবন্দি নেয়। পুলিশের দাবি, কিশোরী তাদের কাছে জানিয়েছে, ওই যুবক তার সঙ্গে সহবাস করেননি। কিন্তু এখন বেকার থাকায় তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। কিন্তু এখনই বিয়ে করার জন্য চাপ থাকায় সে আত্মহননের জন্য গায়ে আগুন দেয়। যদিও নাবালিকার বাবার অভিযোগ, “ছেলেটি আমার মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছে। ও বিয়ে করতেও আপত্তি জানিয়েছে। সেই কারণেই মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে।” যদিও ওই প্রেমিকের পরিবারের লোকেদের দাবি, “মেয়েটি নাবালিকা হওয়াতেই এখন বিয়ে করতে রাজি হয়নি প্রেমিক।”
এদিকে শুক্রবারও নাবালিকার শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। আগুনে তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা। এ দিন ওই যুবক-সহ তিনজনকে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। |