বসে গল্প করার জায়গা কম। তাই মনের কথা আদান প্রদানে কার্ডকেই বেছে নিচ্ছে বাঁকুড়ার অনেক যুগল। শুক্রবার ভ্যালেনটাইন্স ডে-তে তাই বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের মতো অনেক এলাকার ছেলেমেয়েদের কার্ড কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করতে দেখা গেল। পিছিয়ে ছিলেন না পুরুলিয়ার যুবারাও। অন্যদিকে কার্ড বিক্রি বাড়ায় মুখে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদেরও।
বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ার কার্ড ব্যবসায়ী প্রিয়ব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত বছরের তুলনায় ভ্যালেন্টাইন ডে-তে কার্ড বিক্রি এ বছর অনেকটাই বেড়েছে। গত তিনদিন ধরে কার্ড কিনতে ভিড় জমাচ্ছিলেন বহু কিশোর-কিশোরী থেকে যুবক-যুবতী। এ বার কার্ডের ব্যবসা অনেকটাই বেড়েছে।” একই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন, বাঁকুড়ার রাসতলার ব্যবসায়ী প্রবীর দাসও। তাঁর কথায়, “অন্য বছর কার্ডের চেয়ে গিফট বেশি বিক্রি হয়। এ বার দেখছি বেশিরভাগ ছেলেমেয়ের কার্ড কেনায় আগ্রহ বেশি।”
কার্ড কিনতে আসা দশম শ্রেণির এক কিশোরী বলে, “একই পাড়ায় আমাদের বাড়ি। কাছে পিঠে তাই ঘুরতে বেড়ানো সম্ভব নয়। সে জন্য ওকে কার্ড কিনে দেব বলে টিফিন খরচের টাকা বাঁচিয়ে রাখতাম। মনের মতো কার্ডটা কিনে নিয়েছি। এ বার টিউশন যাওয়ার পথে সুযোগ বুঝে চট করে ওর হাতে কার্ডটা ধরিয়ে দেব।”
পুরুলিয়াতেও একই ছবি। কার্ড কিনতে ভিড় উপচে পড়ল দোকানগুলিতে। শুক্রবার শহরের বিভিন্ন কার্ড বা উপহারের দোকানে নিজের প্রিয়জনের জন্য কার্ড ও উপহার কিনতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। চকবাজার এলাকার একটি কার্ডের দোকানদার বিজয় কুণ্ডু বললেন, “আমার দোকানে ২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দামের কার্ড রয়েছে। বহু ক্রেতা বেশি দামের কার্ড কিনেছেন।” অন্য এক কার্ড বিক্রেতা বিপ্লব সিংহ বলেন, “ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছি এ বার। গতবারের থেকে কিছুটা বেড়েছে।”
উপহারের দোকানগুলিতেও নজরকাড়া ভিড় ছিল। বরাকর রোডের উপহারের দোকান রয়েছে সুদীপ সেনের। তিনি বলেন, “ভ্যালেন্টাইন স্মারক ভালই বিক্রি হয়েছে।” ভিড় দেখা গিয়েছে মোবাইলের রিচার্জের দোকানেও। রেডক্রশ রোডের মোবাইল কার্ডের দোকানদার উজ্জ্বল মাহাতোর কথায়, “অনেকে প্রিয়জনকে আবার মোবাইল ফোনের রিচার্জ ভাইচার উপহার দিয়েছেন। বিভিন্ন কোম্পানি নানা প্যাকেজ দিয়েছে। রিচার্জের পাশাপাশি মেসেজ কার্ডও বিক্রি হয়েছে।” |