গঙ্গাসাগরের সময় অসম্পূর্ণ পরিকাঠামোর মধ্যেই তড়িঘড়ি চালু করে দেওয়া হয়েছিল কাকদ্বীপের লট-৮ ঘাটের অদূরে ৪ নম্বর জেটি। মেলা শেষ হয়ে গেলেও পরিকাঠামোর উন্নতিতে এখনও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। ওই অবস্থাতেই পারাপার চলছে। আর তারই মাসুল দিতে হল শুক্রবার মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে সাগরে আসা পূণ্যার্থীদের। এ দিন সকালে প্রচণ্ড ভিড়ে জেটিঘাটে ওঠানামা করতে গিয়ে জখম হন ৬ জন। আহতদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও শিশুও রয়েছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রথামিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাগরের মুড়িগঙ্গা নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার কোটালে ভাটার সময় সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাট থেকে কাকদ্বীপের লট-৮এ ১ নম্বর জেটিঘাটে ভেসেল ঢুকতে পারত না। ঘাটে ঢোকার মুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে দাঁড়িয়ে থাকত ভেসেল। সমস্যার সমাধানে ১ নম্বর জেটিঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নদীর আরও ভিতরে যেখানে গভীরতা বেশি সেখানে আর একটি জেটিঘাট নির্মাণ করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার আগে তার উদ্বোধনও হয়ে যায়। ঠিক হয় ভাটার সময় ১ নম্বর জেটিঘাটে পারাপার বন্ধ থাকলে নতুন ৪ নম্বর জেটিঘাটে পারাপার চলবে। সেইমতো পারাপারও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু দিন কয়েক পরেই নতুন জেটিঘাট নিয়ে দেখা দেয় সমস্যা। শুধু আলো নয়, শৌচাগার, পানীয় জল, যাত্রী শেড কোনও কিছুরই ব্যবস্থা নেই। জেটিঘাটে নেই ঘাটে যাত্রী আসা যাওয়ার জন্য কোনও ডিভাইডার। ফলে ভিড়ের সময় ধাক্কাধাক্কি করে ওঠানামা করতে হয়। আরও বড় সমস্যা কখন লট-৮ ঘাট থেকে ভেসেল যাতায়াত করছে আর কখন ৪ নম্বর জেটিঘাট দিয়ে যাতায়াত করছে তা যাত্রীদের জানানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে তাঁরা নাকাল হচ্ছেন। এ দিন সকালে জেটিঘাটে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানৈীয় মানুষের অভিযোগ।
কাকদ্বীপের বিধায়ক সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মণ্টুরাম পাকিরা বলেন, “ঘাটের পরিকাঠামোর উন্নতিতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ দিন প্রচণ্ড ভিড়ে তাড়াহুড়ো করে ভেসেলে ওঠানামা করতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটেছে।” |