প্রথমবারের জন্য শিলিগুড়িতে হতে চলেছে সন্তোষ ট্রফি ফুটবল প্রতিযোগিতা। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ৬৮ তম সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে বলে শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।
গৌতমবাবু বলেন, “অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে সবুজ সংকেত মিলেছে ফ্যাক্স বার্তায়। ফেডারেশনের যুগ্ম সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে খেলা হতে কোনও বাধা নেই। সেই মত ক্রীড়াসূচিও ঠিক হয়ে গিয়েছে।”
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে খেলা শুরু হয়ে শেষ হবে ৯ মার্চ। প্রতিদিন দু’টি করে খেলা রয়েছে। প্রথমটি দিনে ও পরেরটি রাতে হবে বলে সূচিতে ঠিক হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি দু’টি সেমিফাইনাল হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রতিদিন খেলাগুলি শুরু হবে দুপুর আড়াইটে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, “টিকিটের দাম ধার্য হয়েছে দিনের ম্যাচের ক্ষেত্রে ১০ ও ২০ টাকা। এবং রাতের ম্যাচের ক্ষেত্রে ১০, ২০ ও ৩০ টাকা ঠিক হয়েছে।”
মোট দশটি দল মূলপর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। এদের দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ এ’ তে রয়েছে সার্ভিসেস, কেরালা, মিজোরাম, উত্তরাখণ্ড ও মহারাষ্ট্র। ‘গ্রুপ বি’ তে রয়েছে বাংলা, তামিলনাড়ু, রেলওয়েজ, পঞ্জাব ও গোয়া। প্রতিটি বিভাগ থেকে পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষে থাকা দুটি দল সেমিফাইনাল খেলবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
শেষবার ফাইনালে কেরলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় সার্ভিসেস। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলা সবচেয়ে বেশি ৪৩ বার ফাইনাল খেলে ৩১ বার চ্যাম্পিয়ন ও ১২ বার রানার্স হয়েছে। ১৯৪১ সাল থেকে শুরু হয়েছে সন্তোষ ট্রফির খেলা। শুরুর পর থেকেই জাতীয় টুর্নামেন্ট হিসেবে এই প্রতিযোগিতা খ্যাতি লাভ করেছে। চলতি মরশুম থেকে সন্তোষ. ট্রফির কাঠামোয় কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পাঁচটি জায়গায় খেলা হচ্ছে গ্রুপ পর্যায়ে। প্রতিটি পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলকে নিয়েই মূলপর্বের খেলা হবে। |