কলকাতা ছেড়ে পাহাড়ে চললেন র্যান্টি মার্টিন্স!
গত পৌনে দু’বছরের ইউনাইটেড স্পোর্টসের বেগুনি জার্সি ছেড়ে শেষ পর্যন্ত আই লিগের ক্লাব শিলংয়ের রাংদাজিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন নাইজিরিয়ান গোলমেশিন। শুক্রবার বলে দিলেন, “ইউনাইটেড আমার কাছে দ্বিতীয় পরিবার। এই ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু আমি তো পেশাদার। ফুটবল খেলেই সংসার চালাই। তাই রাংদাজিদের সঙ্গে বাধ্য হয়েই চুক্তি করলাম।”
আজ শনিবার আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই তড়িঘড়ি শুক্রবারই ইউনাইটেড কর্তাদের চিঠি দিয়ে রিলিজ চান র্যান্টি। আর্থিক দুরবস্থায় নাজেহাল কর্তারা তাঁকে আটকাননি। পুরনো ক্লাবের কাছ থেকে রিলিজ নিয়ে তা শিলংয়ের ক্লাবে পাঠিয়ে দেন গতবারের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ।
র্যান্টি অন্য ক্লাবে চলে গেলেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা থাকছেন শহরেই এবং ইউনাইটেডের দেওয়া ফ্ল্যাটে। ইউনাইটেড কর্তা নবাব ভট্টাচার্য বললেন, “র্যান্টি আমাদের কাছে আর্থিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল। আমরা দিতে পারিনি। তবে ওর সন্তানরা এখানে পড়াশুনা করে। এখন অন্য স্কুলে ওদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের দেওয়া ফ্ল্যাটেই ওরা থাকবে এখন।” আর্থিক সমস্যার জন্য ইউনাইটেড কর্তারা অবশ্য ফেড কাপের পর র্যান্টিকে বলে দিয়েছিলেন, অন্য ক্লাব পেলে তাঁকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হবে। ফলে ক্লাব খুঁজছিলেন র্যান্টির এজেন্ট।
রাংদাজিদ এই মুহূর্তে আই লিগের লাস্ট বয়। ১৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন বাঁচানোর লড়াই করছে। র্যান্টি কী পারবেন বাড়তি চাপ নিয়ে শিলংয়ের ক্লাবটিকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচাতে? “আমি জানি রাংদাজিদ ভাল জায়গায় নেই। কিন্তু আমার প্রথম লক্ষ্যই হবে গোল করে দলকে জেতানো। দলকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচানো,” বিকেলে জিম করার ফাঁকে বলছিলেন র্যান্টি। এর সঙ্গেই যোগ করলেন, “গত বছর সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলাম আই লিগে। এ বার অবশ্য এই লড়াইটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অসম্ভব নয়।” সম্ভবত রবিবারই কলকাতা ছেড়ে যাচ্ছেন র্যান্টি। ইউনাইটেড ছাড়লেও র্যান্টি কিন্তু বললেন, “পরের বার যদি ওরা স্পনসর পায়, আমাকে ডাকে চলে আসব।” |