যখন রিকি পন্টিং তাঁর ‘বানি’ হয়ে উঠেছিলেন, সেই ২০০৭-০৮-এর মতোই আছেন— দাবি ইশান্ত শর্মার। শুধু তাই নয়, শুক্রবার বেসিন রিজার্ভে আধ ডজন উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৯২ রানে শেষ করার পর জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই ভাল বল করছেন, কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি। তিন ইনিংসে ১৫ উইকেট নেওয়ার পর নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেও ছাড়লেন না দিল্লির পেসার।
দুই ওপেনার থেকে শুরু করে টেল এন্ডার— প্রায় পুরো কিউয়ি ব্যাটিংয়ে বুলডোজার চালানোর মেজাজ সাংবাদিক বৈঠকেও বজায় রেখে ইশান্ত বললেন, “জীবনে ওঠা-নামা দেখেছি। যখন কোনও গুরুত্বপূর্ণ সফর হয়, তখনই আমাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সহজ সফরে আমি দলে থাকি। এটা আমার পক্ষে খুব কষ্টের।” এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পাওয়ার যন্ত্রণাই যেন ঠিকরে বেরোচ্ছিল ইশান্তের কথায়।
নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ইশান্ত বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই আমি ভাল বল করে আসছি। এটা আমি আগের সাংবাদিক বৈঠকেও বলেছি। এখন আমি উইকেট পাচ্ছি বলে সবাই আমার দিকে তাকাচ্ছে। আলাদা কিছুই করিনি। ঠিক জায়গায় বল ফেলে গিয়েছি। সত্যি বলতে কী, আমরা সবাই আজ ভাল বল করেছি। কিন্তু আমি আর শামি তার পুরষ্কার পেয়েছি। জাক পা-র (জাহির) দুর্ভাগ্য, ও উইকেট পায়নি। একটা পেয়েছিল, কিন্তু সেটা নো বল ছিল।” মহম্মদ শামিও এ দিন ইশান্তকে সঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন সমানে। ৭০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। সাত বছর আগে তিনি যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন বলে দাবি করেন ইশান্ত। তাঁর বক্তব্য, “২০০৭-০৮-এ রিকি পন্টিংকে যে বল করত, ২০১১-এ যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিল, এখনও সেই বোলারই আছি আমি। এই পিচটাও আগের পিচের মতোই। নিজের বোলিংয়ের বিশ্লেষণ বেশি করি না। কারণ, এখন খেলার চেয়ে মানসিকতাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” |