মগরার যুব কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ রহমানের খুনের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি উঠল বিধানসভায়। শুক্রবার সকালে বিধানসভার কাজকর্ম শুরু হতেই সেই দাবি তোলেন কংগ্রেস বিধায়কেরা। স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন ছিলেন না বিধানসভায়। স্পিকারও কংগ্রেস বিধায়কদের দাবি খারিজ করে দেন। ওয়াকআউট করেন ওই বিধায়কেরা।
এ দিন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি রাজীব সাতাব চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন জেলা ও প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতা। ময়না-তদন্তের পরে অভিজিতের দেহ নিয়ে তাঁর গ্রাম মগরার ছোট খেঁজুরিয়াতেও যান সকলে। রাজীব গ্রামে দাঁড়িয়েই ফোন করেন এআইসিসি সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে হিন্দিতে ফোনে কয়েক মিনিট কথা হয় রাহুলের। বিশ্বজিৎ পরে বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন উনি। বলেছেন, সনিয়া গাঁধীকেও ঘটনার কথা জানাবেন। দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে জন্য দল আমাদের পাশে থাকবে।”
বস্তুত, রাজ্য রাজনীতিতে লড়াকু নেতা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে লোকসভা ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেস যে সংগঠনকে ঢেলে সাজতে উঠেপড়ে লেগেছে, অভিজিৎ-খুনের পর থেকে তা ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। দলের যুব নেতার খুনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিধানভবনে দলের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান সেরেই হুগলি রওনা দিয়েছিলেন সদ্য নির্বাচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর। দলের যুব নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সেখানে গিয়ে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার কটাক্ষ করে বলেন, “অধীর আগে নিজের গ্রেফতারি এড়াক। পরে অন্যের গ্রেফতারের দাবি তুলবে।”
রাজীব মগরার গ্রামে গিয়ে বলেন, “তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নিরীহ অভিজিৎকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। রাহুল গাধীঁর নির্দেশেই আমি এ রাজ্যে এসেছি। এ ভাবে দলের নেতা-কর্মীদের খুন করে আমাদের মুখ বন্ধ করা যাবে না।” ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছিলেন অধীর। সে কথা এ দিন ফের বলেন রাজীব। তবে ওই দিন মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় কর্মসূচিতে মাইক ব্যবহার হবে না বলে জানান আব্দুল মান্নান। |