আলু পাঠানোর নীতি স্পষ্ট করার দাবি
ত বারের ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতার পরে এ বার আলুর মরসুম শুরু হতেই রাজ্যের চার মন্ত্রীর সামনে ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তুললেন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি দু’দিন (৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি) ধরে সিঙ্গুরের রতনপুরে ‘প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি’র ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলনে ওই দাবির পাশাপাশি হিমঘরের ভাড়া না বাড়ানো এবং আলু পরিবহণের সময়ে ‘পুলিশি জুলুম’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা বন্ধের দাবিও তোলেন ব্যবসায়ীরা। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ নানা জেলা থেকে আলু ব্যবসায়ীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
আলু বাছাই। —ফাইল ছবি।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পরিসংখ্যান ও রূপায়ণ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ব্যবসায়ীদের দাবিপত্র হাতে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমরা নিলাম। এ রাজ্যে আলু রেখে আন্তঃরাজ্য ব্যবসা চালানো হলে আমাদের আপত্তির কিছু নেই।” একই বক্তব্য কৃষিমন্ত্রীরও। বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত মরসুমে রাজ্য সরকার ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রাজ্যের বিভিন্ন সীমানায় সারি সারি আলু ভর্তি ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। তা নিয়ে হইচই কম হয়নি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন, রাজ্য অনৈতিক ভাবে ওই ট্রাক আটকাচ্ছে। চলতি মরসুমে ইতিমধ্যেই বাজারে এসে গিয়েছে জলদি আলু। মার্চ মাস থেকে হিমঘরে আলু পাঠানো শুরু হবে। তার আগে এ বারের সম্মেলনে আলুর ব্যবসা নিয়ে সরকারি নীতি জানতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর। তার পরে আলু রাখতে হলে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর সময় এ রাজ্যের সীমানায় পুলিশি জুলুমের স্বীকার হতে হয়। পাণ্ডুয়ার মলয় খাঁ, নালিকুলের যিশু সাহাদের বক্তব্য, “আমাদের যখন লোকসান হয়, সরকার উচ্চবাচ্য করে না। কিন্তু উৎপাদনের তারতম্যের জন্য বাজারে দাম বাড়লেই আমাদের দায়ী করা হয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
ওই ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দিলীপকুমার প্রতিহার বলেন, “উৎপাদনের উপরে গোটা বিষয়টি নির্ভর করে। গত বছর ৭০ শতাংশ আলু লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। পরে তাঁরা যখন একটু লাভের মুখ দেখছেন, তখনই বহির্রাজ্যে আলু পাঠানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সরকার। এতে যে শুধু আমাদেরই নয়, সংরক্ষণকারী এবং রাজ্যের বাইরের ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হল।” তাঁর দাবি, “হিমঘরে আলু তোলার সময়েই সরকার বলে দিক, কত দামে আলু বিক্রি করতে হবে বা অন্যত্র পাঠানো যাবে কি না।” একই দাবি হুগলি জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুকুমার সামন্তেরও।
ব্যবসায়ীদের এমন নানা দাবির সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়বাবু ধান বিক্রি নিয়ে সরকারের ভূমিকার ফিরিস্তি দিতে শুরু করেন। তা শুনে অধৈর্য হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। আওয়াজ ওঠে, “আমরা তো আলুর ব্যাপারী। এটা আলু নিয়ে সম্মেলন। ধান নিয়ে সরকার কী করেছে, তা শুনে আমরা কী করব?” আলুর দামবৃদ্ধি নিয়ে বেচারামবাবু মূলত কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর মতে, “আলু চাষে পেট্রল-ডিজেল লাগে। তার দাম হু হু করে বাড়ল। রাসায়নিক সারেরও দাম বাড়ল। ফলে, দাম বাড়ছে আলুর।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.