মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কেএমডিএ এবং কেএমডব্লিউএসএ-র সঙ্গে রাজ্যের সমন্বয়ের অভাব দূর করতে ত্রিস্তরীয় কমিটি গঠন করল হাওড়া পুরসভা। কমিটিতে রয়েছেন হাওড়ার মেয়র, পুর কমিশনার, ওই দুই উন্নয়ন সংস্থা এবং হাওড়া পুরসভার পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা। ওই কমিটির কাজ হবে হাওড়া পুর এলাকায় সুষ্ঠু জল সরবরাহ, নিকাশি ও কঠিন বর্জ্য অপসারণ নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটা নির্দিষ্ট প্রকল্প রিপোর্ট জমা দেওয়া, পরবর্তী কালে কাজের উন্নতির উপরে নজরদারি করা ও কাজ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর তৃণমূল নতুন পুরবোর্ড গঠন করার পরই হাওড়ার দ্রুত উন্নয়নের জন্য রাজ্য ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব ছিল তা অবিলম্বে দূর করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এ নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম হাওড়া পুরসভার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পানীয় জল, নিকাশি ও কঠিন বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কেএমডিএ এবং কেএমডব্লিউএসএ-র সঙ্গে সমন্বয় কমিটি গড়তে বলেন। এর পরে বৃহস্পতিবার মেয়র রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ত্রিস্তরীয় কমিটি গঠিত হয়।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কমিটির প্রথম স্তরে রয়েছে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি, দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে একটি কারিগরি কমিটি এবং তৃতীয় স্তরে রয়েছে কোর কমিটি। প্রথমটিতে রয়েছেন মেয়র, পুর কমিশনার, দু’জন মেয়র পারিষদ এবং কেএমডিএ-র এক পদস্থ কর্তা। দ্বিতীয়টিতে রয়েছেন পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার, কেএমডিএ এবং কেএমডব্লিউএসএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার। আর কোর কমিটিতে রয়েছেন হাওড়া পুরসভার দুই পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার, কেএমডিএ ও কেএমডব্লিউএসএ-র দুই সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। কারিগরি কমিটি মূলত জল, নিকাশি ও কঠিন বর্জ্য অপসারণ নিয়ে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করবে। সেই রিপোর্ট উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিকে দেওয়া হবে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির পক্ষ থেকে মেয়র সেটি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবেন অনুমোদনের জন্য। অনুমোদন সাপেক্ষে আর্থিক সাহায্য এলে কাজ শুরু হবে। রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট যাওয়ার পরে পুরো ব্যাপারটির দেখাশোনা করবে কোর কমিটি।
মেয়র বলেন, “বিগত দিনে বিভিন্ন দফতরে সমন্বয়ের অভাবে হাওড়ায় কাজ হত না। এ বার সেই অবস্থা বদলাবে। আশা করছি, ১০ দিনের মধ্যে প্রকল্প রিপোর্ট পেয়ে কাজ শুরু করতে পারব।” তিনি জানান, শুক্রবারই পুরভবনে কারিগরি কমিটির প্রথম বৈঠক বসে। বৈঠকে কেএমডিএ, কেএমডব্লিউএসএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারেরা এবং পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুব দ্রুত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিকে দেওয়া হবে। |