|
|
|
|
পোস্টারে লাঠি নয়, সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকারের
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি
১৪ ফেব্রুয়ারি |
বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে সভাকক্ষে অনেক সময় প্ল্যাকার্ড কিংবা পোস্টার ব্যবহার করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। সেই প্ল্যাকার্ড বা পোস্টারে যাতে লাঠি কিংবা ছড়ির ব্যবহার না করা হয় তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার শশাঙ্কশেখর ভোক্তা। গত কাল সংসদে মরিচ-গ্যাসের ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তেলেঙ্গানা বিল পেশকে কেন্দ্র করে সংসদের গরিমাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন এক দল সাংসদ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে সংসদে যেখানে প্রবেশের জন্য সকলকে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী পেরোতে হয়, সেখানে সাংসদদের তল্লাশির কোনও নিয়ম না থাকায় তাঁরা ছুরি, রিভলবার কিংবা মরিচ গ্যাসের ক্যান নিয়ে অবাধে প্রবেশ করতে পারেন। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় এখনও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বিভিন্ন সময় বিরোধীদের বিক্ষোভ দেখানোর নানা ধরন দেখে আর গত কালের ঘটনার পরে চিন্তিত এখানকার বিধানসভার স্পিকারও।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলার সময় ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার বিধায়ক প্রদীপ যাদব গরুর গাড়ি নিয়ে বিধানসভায় ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁর প্রতিবাদের প্রতিপাদ্য ছিল, সরকার গরুর গাড়ির গতিতে চলছে। ওই দলেরই অন্য বিধায়ক সমরেশ সিংহ সরকারের বিরোধিতায় বিধানসভা কক্ষে একাধিকবার টেবিলের ওপরে দাঁড়িয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাগজ ছেঁড়াছেঁড়ির ঘটনাও বিভিন্ন সময় হয়েছে। তবে তেমন কোনও বড় ঘটনা এখানে এ পর্যন্ত ঘটেনি।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ফলে বিরোধী বিধায়কদের তরফ থেকে বাজেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার একটা প্রবণতা সরকারের তরফ থেকেও আঁচ করা হচ্ছে। স্পিকার বলেন, “গত কাল সংসদের ঘটনার পরেই আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। কোনও রকমের আপত্তিকর বস্তু নিয়ে যাতে কেউ বিধানসভায় আসতে না পারেন তা দেখতে পুলিশকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।” তবে এখনই বিধায়কদের দেহ তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না।
এতদিন বিধানসভার বাইরে সিসিটিভির ব্যবস্থা ছিল না। দিল্লির ঘটনার পরে বাজেট অধিবেশনের আগেই বিধানসভার গেটেও সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা। |
|
|
|
|
|