|
|
|
|
মমতার সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা
১৪ ফেব্রুয়ারি |
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার নির্বাচনী রাজনীতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নরেন্দ্র মোদীর পর ত্রিপুরা সফরে আসবেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি শহরের আস্তাবল ময়দানে তাঁর জনসভার জন্য ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। ব্লক থেকে জেলা, সর্বত্রই তাঁরা মমতার সফরের প্রচার করে চলেছেন। ‘যেখানেই মমতা, সেখানেই জনতা’ এই স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় দলের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মমতার জনসভা থেকেই রাজ্যবাসী স্বৈরাচারী শাসক দল সিপিএমকে ক্ষমতাচ্যুত করে এ রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার শপথ নেবেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন রাজনীতির দিশারী। রাজ্যে বামফ্রন্টের স্বজন -পোষণ নীতি, অপশাসন, দুর্নীতির অবসানে ইতিমধ্যেই রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেছে। সেই আন্দোলনে ঢেউ তুলতেই আসছেন তৃণমূল নেত্রী।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল এ বার প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের তরফে তৃণমূলের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে জোট গড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। আলাপ -আলোচনাও চলছে। দু’একটি দলের সঙ্গে প্রাথমিক স্তরে কথাবার্তাও হয়েছে বলে দলের চেয়ারম্যান স্বীকার করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আস্তাবলে সভা শেষ করে ওই দিনই মমতা গুয়াহাটি চলে যাবেন। দলের আর এক রাজ্য নেতা জওহর সাহার আশঙ্কা, ‘‘মমতার জনসভায় দলীয় কর্মী -সমর্থকরা যাতে আসতে না পারেন, সেই উদ্দেশে কংগ্রেস ও সিপিএম, দুই দলই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’’ তবে তাঁরাও যে এই পরিস্থিতির জন্য তৈরি তা জানিয়ে জওহরবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাধা পেলে তৃণমূল কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। |
|
|
|
|
|