|
|
|
|
ফাঁসি চাই, আর্জি নিদোর বাবার
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১৪ ফেব্রুয়ারি |
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ছেলের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন নিদো টানিয়ার বাবা-মা। ঘটনার পরে যে সব পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকার করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৯ জানুয়ারি দিল্লির লাজপত নগরে কিছু দোকানি অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা নিদোকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরের দিন তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পরে দিল্লি, উত্তর-পূর্ব ভারত-সহ নানা প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের প্রায়ই জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে নানা শিবির থেকে। যন্তর মন্তরে নিদোর পক্ষে বিক্ষোভে হাজির হন রাহুল গাঁধী-সহ রাজনৈতিক নেতারাও। নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার।
নিদো টানিয়ার বাবা নিদো পবিত্র অরুণাচলের কংগ্রেস বিধায়ক। আজ স্ত্রী নিদো মারিনা, সাংসদ টাকাম সঞ্জয় ও উত্তর-পূর্বের আরও চার প্রতিনিধিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পবিত্র জানিয়েছেন, মনমোহনকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। ছেলের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ঘটনার পরে যে পুলিশকর্মীরা এফআইআর নিতে চাননি তাঁরাও দোষী। |
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে টানিয়ার মা নিদো মারিনা। নয়াদিল্লিতে শুক্রবার। ছবি: পিটিআই। |
৩০ জানুয়ারিকে জাতিবিদ্বেষ-বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা
করার দাবি জানিয়েছেন নিদোর বাবা-মা। পাশাপাশি রাজধানীতে নিদো টানিয়ার একটি মূর্তি স্থাপনের দাবিও করেছেন তাঁরা।
পবিত্রের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নিদো টানিয়ার মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত। উত্তর-পূর্বের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।”
আজই উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের রক্ষা করতে নির্দেশিকা তৈরি নিয়ে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চেহারার জন্য সারা দেশেই উত্তর-পূর্বের মানুষকে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয় বলে দাবি সাত জন কৌঁসুলির। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন ওই অঞ্চলের। ওই সাত জনই শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন।
শীর্ষ আদালতে কৌঁসুলি মুকুল রোহতগি জানান, উত্তর-পূর্বের মানুষকে নিজ দেশবাসীর হাতেই হেনস্থা হতে হয়। ওই এলাকার যে সব বাসিন্দা দেশের অন্য প্রান্তে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেরই বিদ্বেষের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এমনকী, হেনস্থা, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের কাহিনিও প্রায়ই শোনা যায়। তাঁদের রক্ষা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও ব্যবস্থা নেই। |
|
|
|
|
|