|
|
|
|
শরিকি চাপে হেমন্ত, ক্ষোভ বাড়ছে জেএমএমের অন্দরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
১৪ ফেব্রুয়ারি |
কখনও নিজের দলের বিধায়কদের ইস্তফার হুমকি। কখনও আবার শরিক দলের মন্ত্রীর ইস্তফা দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এমনকী চলতি সরকারের মেয়াদ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী, কংগ্রেসের চন্দ্রশেখর(দদাই) দুবে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অসৎ আর অকর্মণ্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন। আর তার জেরেই সরকারের প্রধান দল জেএমএম আর কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে কাজিয়া। সূত্রের খবর, দদাইকে সরানোর জন্য মোর্চার তরফ থেকে কংগ্রেসের উপরে চাপ দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনের আসন বন্টন নিয়ে কংগ্রেস হাইকমাণ্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। দদাইকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর জন্য তিনি কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ডের কাছে অনুরোধ করবেন।
উল্লেখ্য, সরকার গঠনের পর থেকেই নানান ঘটনায়, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও শরিকি চাপে তার থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছেন হেমন্ত। বালিঘাট নিলাম নিয়ে গ্লোবাল টেণ্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরজেডির সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকির সামনে পিছু হটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাধ্য হয়েছেন বালিঘাটের নিলাম মুলতুবি করে দিতে। রাজ্যসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও আরজেডির সরকার ফেলে দেওয়ার একই হুমকিতে পিছু হটেছে জেএমএম। যার জেরে দলের তিন বিধায়ক, শীর্ষনেতা শিবু সোরেনের কাছে ইস্তফা পত্রও জমা করে দেয়। বর্তমানে ফের সম্পত্তি কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও শরিকি চাপের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেএমএম নেতাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কাজ করতে চাইলেও তাঁকে বিভিন্ন ভাবে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় শরিক দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এমন সব মন্তব্য করা হচ্ছে, যার জেরে রাজ্যবাসীর মনে সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেএমএম কড়া ভাবে এর কোনও প্রতিবাদ না করায় দলীয় কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। আজও রাঁচিতে কংগ্রেস সাংসদ সুবোধকান্ত সহায় বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। তবে তিনি শরিকদের নিয়ে সরকার চালাতে জানেন না। শরিকদের নিয়ে রাজনীতিও করতে পারেন না।”
দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, “দদাই দুবে এমন কোনও বড় নেতা নন যে তাঁর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ডের কাছে নালিশ করতে হবে।” পাল্টা দদাইকে আক্রমণ করে সুপ্রিয়বাবু বলেন, “উনি চাইছেন ওঁর এক নিকট আত্মীয়কে একটি সরকারি দফতরের চেয়ারম্যান করতে। সরকার রাজি না হওয়ায় উনি ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ তাঁর মন্তব্য।” |
|
|
|
|
|