|
|
|
|
গোলাপ ছিঁড়ে প্রেম উদযাপন ইকো-পার্কে
আর্যভট্ট খান |
অন্য দিন নিউ টাউনে ইকো পার্কের গোলাপ বাগানে রক্ষী থাকেন বড়জোর এক বা দু’জন। শুক্রবার, ভালবাসার দিনে সেখানেই ৪-৫ জনের তৎপরতা। তারই মধ্যেই কেউ রাস্তা থেকে নেমে পড়লেন বাগানের ঘাসে। মোবাইলে ছবি তুললেন নানা রঙের বাহারি গোলাপ ছুঁয়ে। পার্কের নিয়ম তোয়াক্কা না করে কেউ কেউ আবার গাছ থেকে গোলাপ ছিঁড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে শহরে মহার্ঘ ছিল গোলাপ। এক-একটার দাম কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকা। বিদেশি ডাচ গোলাপের দাম আরও বেশি। মনের মতো গোলাপে হাত ছোঁয়াতে পারেননি অনেকে। সে সাধ মিটেছে ইকো পার্কে। কালো থেকে সাদা, লাল, গোলাপি গোলাপের রাজ্যে কারও নাম মিল্কি ওয়ে, কারও গোল্ড স্টিক, কোনওটির স্কাই লাইন। এ ছাড়া, ম্যাটগোট বা মিনিপল তো রয়েছেই। |
|
দিনভর তাই প্রেমিক-প্রেমিকারা ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদেরই এক জন বলেছেন, “বান্ধবীকে ভাল গোলাপ কিনে দিতে পারিনি। এখানে এসে সেই দুঃখ ভুলে গিয়েছি।” বাগানেই ঘুরে দেখা গেল, ছড়িয়ে ছেঁড়া পাপড়ি। এমনকী, কাণ্ড থেকে ফুল ছিঁড়ে নিলে ডাঁটির যেমন চেহারা হয়, তার দৃষ্টান্তও মিলল। অভিযোগ, টাটকা গোলাপ ছিঁড়ে প্রিয়জনের হাতে তুলে দিতে বেপরোয়াও হয়ে উঠেছিলেন কেউ কেউ। এবং তাতে কোনও কোনও রক্ষী সাহায্যও করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “বাগানে ফুল ছোঁয়াও নিষেধ। সকালের দিকে এ রকম অভিযোগ কানে এসেছিল। কিন্তু যেহেতু সিসিটিভি নেই, তাই নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।” হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন অবশ্য বলেন, “আমাদের বাগানে রক্ষীও থাকে। নজরদারি আরও বাড়াতে বলেছি।” বিকেলের দিকে বাগানে কড়াকড়ি শুরু হয়ে যায়। যাঁরা ঘুরতে আসেন, তাঁদের বাগানে বসেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। |
|
|
|
|
|