|
|
|
|
সংস্কারে দেরি, এখনও বিপদ বিধাননগরের সিএ মার্কেটে
কাজল গুপ্ত |
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের সঙ্গে ইএম বাইপাস সংযোগকারী রাস্তার সংস্কারের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসুর সাহায্য চাইল কলকাতা পুরসভা।
সম্প্রতি রাস্তাটির দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আগে রাস্তাটির দেখভাল করত কেএমডিএ। কী ভাবে এই রাস্তা মেরামতি হবে? তা জানতেই পুর-কর্তৃপক্ষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসুর সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “এই রাস্তা কী ভাবে সারানো হবে তা সমীক্ষা করে জানার পরেই কাজ শুরু হবে। রাস্তা সমীক্ষার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসুর প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবেন।” এই প্রকল্পে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হবে বলেও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
এমনই অবস্থা বাজারের। ছবি: শৌভিক দে। |
কিছু দিন আগেই বিধাননগরের সিএ মার্কেটে পুরনো বাজারের দোতলার একটি বড় অংশের চাঙড় ভেঙে পড়েছিল। কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। এক বার নয়, একাধিক বার এই বাজারে চাঙর ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুর-প্রশাসনও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বার বার। কিন্তু এখনও কোনও কাজই শুরু হয়নি।
সিএ মার্কেট বিধাননগর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের স্নিগ্ধা মজুমদার বলেন, “একাধিক বার চিঠি দিয়ে পুর-প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও কাজই হয়নি।” পুরসভা সূত্রে খবর, এই ব্লক, ইসি ব্লক-সহ নানা বাজারের সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পারিষদ তৃণমূলের অনুপম দত্ত বলেন, “সিএ মার্কেটের সংস্কার করা হবে। তবে এখনও টেন্ডার ডাকা হয়নি।” অভিযোগ, চেয়ারম্যান পারিষদ ও কাউন্সিলরদের বৈঠকে সিএ মার্কেট সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার
পরে দীর্ঘ দিন পার হলেও কোনও কাজ হয়নি।
সিএ মার্কেটের উপরে শুধু সিএ ব্লকই নয়, পাশের অন্য ব্লকের বাসিন্দারাও নির্ভরশীল। ক্রেতাদের একাংশের দাবি, অবিলম্বে এই মার্কেট সংস্কার করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা নিত্যানন্দ বসু বলেন, “এই বাজারের উপর অসংখ্য বাসিন্দা নির্ভরশীল। মাঝেমধ্যেই চাঙড় ভেঙে পড়ছে। তা সত্ত্বেও কেন বাজার মেরামত করা হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। বিধাননগরের অন্য মার্কেটে কিন্তু মেরামতির কাজ চলছে।”
ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, বার বার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। বিপজ্জনক অবস্থা। কিন্তু পুরসভাকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সম্প্রতি চাঙড় ভেঙে পড়ার পরেও পুরসভার তরফে কেউ আসেননি। সিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মহম্মদ কুরবান বলেন, “যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুঁইয়ে জল পড়ে। শৌচাগারের অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যুৎ সরবরাহেরও বেহাল দশা। পুজোর পরে কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি।”
অন্য দিকে, দীর্ঘ দিন পরে প্রতিশ্রুতি মতো বিডি মার্কেটে সংস্কারের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করেছে পুরসভা। পরে ধাপে ধাপে বাকি অংশের সংস্কার করা হবে। সংস্কারের কাজ শেষ করতে এক কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে। এখানে একটি কমিউনিটি হল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “পুরনো বাজারগুলির বেহাল দশা। আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ধাপে ধাপে বিভিন্ন বাজারের সংস্কারের কাজ হচ্ছে।” অনুপমবাবু জানান, এই এবং ইসি মার্কেটেরও সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি সিএ মার্কেটেরও সংস্কার করা হবে। |
|
|
|
|
|