সেচে হাতিয়ার গোলাপবাগ
চেনা লহরই এ বার হয়ে উঠতে চলেছে সেচের হাতিয়ার।
শুক্রবার পানাগড়ে মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে আরও নানা সেচ প্রকল্পের সঙ্গে বর্ধমানের ‘গোলাপবাগ লহর’ জলাধারের মেরামতি ও পুনর্সংস্কারের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরুর সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে জেলার ৪০ হেক্টর জমি সেচের সুবিধা পাবে। চলবে মাছ চাষ, উদ্যানপালনও।
গোলাপবাগ নিয়ে নানা কাহিনী শোনা যায় লোকমুখে। যেমন, একসময় অসংখ্য গোলাপ গাছ থাকায় এই বাগানের নাম হয় গোলাপবাগ। বর্ধমানের মহারাজারা দারুলবাহার নামে গ্রীষ্মাবকাশ কাটানোর একটি প্রাসাদও তৈরি করেন ওখানে। অনেক ভাইসরয়ও সেখানে গরম কাটিয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া বর্ষায় লহরে মাছ ধরা ছিল বর্ধমানের এক রাজা তেজচন্দের শখ। লহরের জলে নৌকা ভাসিয়ে আমোদপ্রমোদে মেতে উঠতেও দেখা যেত রাজপরিবারের সদস্যদের। এখানেই বিখ্যাত উদ্ভিদবিদ জোসেফ ডালটন হুকার ১২৮ ধরণের উদ্ভিদের কথা নথিভুক্ত করেছিলেন। সুকুমার সেনের আত্মজীবনী ‘দিনের পরে দিন যে গেল’-তেও গোলাপবাগের কথা পাওয়া যায়। তখনকার গোলাপবাগ নাকি আলিপুর চিড়িয়াখানাকেও টেক্কা দিত। শোনা যায়, এখানে যত বড় বড় বাঘ ছিল তেমনটা আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও মিলত না। এছাড়া হাম্পটন কোর্ট-মেজের নক্সায় তৈরি আশ্চর্যের এক গোলকধাঁধা ছিল গোলাপবাগে। তবে লহরের নথিবদ্ধ ইতিহাস কোথাও মেলেনি।
এখন গোলাপবাগ। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা জলসম্পদ অনুসন্ধান বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লহরের মোট জলাভূমির পরিমাণ ৫.৬৩ হেক্টর। জলাশয়কে উন্নত ও বেশি জলধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। গত বছর সেচমন্ত্রী দু’বার লহর পরিদর্শনেও আসেন। রাজ্য জলসম্পদ অনুসন্ধান বিভাগের ডিরেক্টর নিলাদ্রী নাহা বলেন, “লহরটিকে মেরামত ও নতুন করে সংস্কারের জন্য আমরা পরপর দু’বার দিল্লিতে প্রকল্পটি পাঠিয়েছিলাম। তবে দু’বারই তা ফেরত এসেছে। কেন্দ্রের টাকা না মেলায় রাজ্য সরকারের তরফেই ওই প্রকল্পটি করব আমরা।”
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও গোলাপবাগেই। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার আগেই জানিয়েছেন, ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ করে লহরটি সংস্কার করা হবে। ওই লহরে ইতিমধ্যেই মাছ চাষ করা হয়। লহরের জল তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারে নানা ধরণের পরীক্ষামূলক চাষও হয়ে থাকে। তাহলে নতুন কী হবে? জেলা জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “গোলাপবাগকে কেন্দ্র করে পর্যটন গড়ে উঠতে পারে। আমরা লহর কেটে আরও গভীর করব। দ্বীপের মতো যে অংশটি রয়েছে তার চারপাশে বোল্ডার বিছিয়ে গভীর জলাশয় গড়া হবে। সরকারের জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের আওতায় এই কাজ হবে।” তাঁর দাবি, বর্ষায় লহরে জমে থাকা অতিরিক্ত জল উল্টোদিকের জঙ্গলের জমিতে থাকা কালভার্টের নীচ দিয়ে বের হয়ে যায়, তা ধরে রাখতে পারলেই অনেক কাজ হতে পারে।” মাটি উৎসবেই জানানো হয়েছে, এই লহরের জল থেকে সেচের অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন ৫২ জন চাষি।

জয়ী শিবাজি
প্রথম ডিভিশন ক্রিকেটে শুক্রবারের খেলায় শিবাজি সঙ্ঘ ৬ উইকেটে হারিয়েছে গলসি উদয়ন সঙ্ঘকে। এ দিনের খেলায় ছিল বোলারদের দাপট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গলসি উদয়ন সঙ্ঘ ১৪.২ ওভারে মাত্র ৩৫ রান করে সকলে আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে অরিত্র হালদার সর্বোচ্চ ১০ রান করেন। অন্যদিকে শিবাজি সঙ্ঘের সুরজিৎ দাস ২২ রানে ৬টি উইকেট ও সন্তোষ জয়সোয়ারা মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। কিন্তু এত কম রান তাড়া করতে গিয়েও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়েপ মধ্যে পড়েছিল শিবাজি সঙ্ঘ। স্কোরবোর্ডে তাদের কোনও রান ওঠার আগেই আউট হয়ে যান শিবাজির দু’জন খেলোয়াড়। এক সময়ে শিবাজি সঙ্ঘের রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৬-৪। এর পরে অবশ্য শিবাজি সঙ্ঘকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। জয়ী দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অলকেন্দু লাহিড়ি (১৯)। গলসি উদয়ন সঙ্ঘের প্রসেনজিৎ মণ্ডল মাত্র ৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট দখল করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.