লোকসভায় বৃহস্পতিবার হওয়া হাঙ্গামার ঘটনাকে ধিক্কার জানালেন ‘নকল সংসদের’র স্পিকার, বিরোধী দলনেতা ও সাংসদের ভূমিকায় অভিনয় করা ছাত্রছাত্রীরা।
রাজ্য পরিষদীয় দফতরের উদ্যোগে বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার নিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বৃহস্পতিবার আসল সংসদে ছুরি চালানো, গোলমরিচের গুঁড়ো ছেটানো, রাসায়নিক স্প্রে করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “সংসদ হচ্ছে দেশের সেরা গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো। আমরা তাঁদেরই ভূমিকায় অভিনয় করে পুরস্কার পাচ্ছি। কিন্তু গতকাল ছিল গণতন্ত্রের লজ্জার দিন। গতকাল যাঁরা সংসদে হামলা চালিয়েছে তাঁদের অনুসরণ করতে আমাদের আমাদের লজ্জা করছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ভূদেব ঘোষ। বৃহস্পতিবার সংসদের ঘটনাকে ‘অশ্লীলতা’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যাঁরা নকল সংসদ চালিয়েছেন, তাঁদের সামনে কী আদর্শ তুলে ধরা হবে?” |
বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ রুদ্র নকল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, “বৃহস্পতিবার সংসদে যা হয়েছে, তারপরে ছাত্রছাত্রীদের এই সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে আমার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আমি অংশগ্রহণকারীদের এখন কী বলব সেটাই বুঝতে পারছি না।” নকল সংসদের পরিচালক বিবেকানন্দ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক কুশল চট্টোপাধ্যায় বলেন,“লোকসভার সাংসদদের বিশৃঙ্খলা জাতীয় লজ্জা।”
নকল সংসদ ও সংসদ বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বর্ধমানের মহারাজা উদয়চাঁদ (এমইউসি) মহিলা কলেজের ছ’জন ছাত্রী। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতার সেরা স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন অভীপ্সা গঙ্গোপাধ্যায়। সেরা বিরোধী নেত্রী হয়েছেন অবনা রাউত। সেরা সাংসদ হয়েছেন সুজাতা ভট্টাচার্য। এ ছাড়া সেরা মুখ্যমন্ত্রী, সেরা সচিব, সেরা মহিলা সাংসদের পুরস্কারও গিয়েছে এমইউসি মহিলা কলেজের ঝুলিতে। প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়, এমইউসি মহিলা কলেজ ও গুসকরা মহাবিদ্যালয়। |