অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সদর কার্যালয়ের একাংশ। শুক্রবার ভোরে কুলটির এই ঘটনায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ ও দমকলের প্রাথমিক অনুমান। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে প্রচুর টাকা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে।
কুলটির ডিসেরগড় ঝালবাগানে ওই কার্যালয় থেকে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। তাঁদের চিৎকারে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। খবর পেয়ে সেখানে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, আগুনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারছিলেন না তাঁরা। অল্প সময়ের মধ্যে আসানসোল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। সেটি কাজ শুরু করে করে। পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন সেখানে চলে আসে। তিনটি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। |
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন সংস্থার কর্মীরাও। তাঁদের চোখে-মুখে আতঙ্ক। সংস্থার এক কর্মী শুভেন্দুনারায়ণ রায় জানান, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি প্রথমে কার্যালয়ের ভিতর থেকে সাইরেনের আওয়াজ পান, ধোঁয়াও বেরোতে দেখেন। তিনি বলেন, “আমি বুঝলাম, ভিতরে আগুন লেগেছে। দেরি না করে দমকলে খবর দিলাম। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে যান এলাকার বাসিন্দারাও। কার্যালয়ের ভিতরে গিয়ে দেখা গেল, একাংশ একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ফাইবারের আসবাবপত্র গলে গিয়েছে। পুড়ে গিয়েছে কম্পিউটার-সহ বহু মূল্যবান নথি।” ঘটনাস্থলে পৌঁছন সংস্থার আধিকারিক কে কে তরণ। তিনি জানান, সিস্টেম এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগের সবই পুড়ে গিয়েছে। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, “কী কারণে আগুন লেগেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা এখন হিসেব কষে দেখছি, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আসানসোল দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ধারণা, আগুন লেগেছে মাঝরাতে। এমনিতে শীতের রাত, তার উপরে আগুন ভিতরে জ্বলতে থাকায় আশপাশের বাসিন্দারা টের পাননি। |