নার্সিংহোমে রেফার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক
|
হাসপাতালে টিবি-র সংক্রমণে পেটে জল জমা বা টিউবারকুলার অ্যাসাইটিস-এর চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তার পরেও এক দিনমজুরের মাকে চিকিৎসা না করেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে এক নার্সিংহোমে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এখন নার্সিংহোমের বিল মেটাতে গিয়ে নাজেহাল দিনমজুর। কালিয়াচক জালালপুরের বাপ্পা সাহা অসুস্থ মায়ের নার্সিংহোমের খরচের বিল পরিশোধ করার আর্জি জানিয়ে জেলার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী থেকে শুরু করে জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীকল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা না করিয়ে রোগীদের বাইরে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। বুধবার মেডিক্যাল কলেজের বৈঠকে চিকিৎসকদের রেফার না করার কথা বলা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তা মালদহের কোনও নার্সিংহোমে নেই। দিনমজুর পরিবার নির্দিষ্ট করে চিকিৎসকের পরিচয় দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলার আর এক মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেছেন, “মালদহে মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার পর জেলার মানুষ অনেক আশা করেছিলেন, যে বাইরে চিকিৎসা করতে যেতে হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু চিকিৎসক রাজ্য সরকারকে বদনাম করতে রোগীদের নার্সিংহোমে পাঠাচ্ছেন। ওই পরিবার যঁর নামে অভিযোগ করেছে, সেই চিকিৎসককে খুঁজে বার করার জন্য আমি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছি।” অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীও। আর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাস বলেন, “অভিযুক্ত চিকিৎসককে শনাক্ত করা হচ্ছে। নথিপত্র পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে কালিয়াচকের জালালপুর গ্রামের বাপ্পাবাবু অসুস্থ মা পাবর্তী সাহাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। টিবি-র সংক্রমণে পার্বতীদেবীর পেটের জল জমে ছিল। বাপ্পাবাবু বলেন, “ভর্তির পর এক চিকিৎসক বলেন, তোমার মার চিকিৎসা এখানে হবে না। নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাও। নইলে উনি বাঁচবেন না। মঙ্গলবার নার্সিংহোমে যাই। দু’দিনে ১০ হাজার টাকা বিল হয়েছে। কোথাও পাব জানি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই চিকিৎসককে দেখলে আমি ঠিক চিনতে পারব।” |