|
|
|
|
বিধায়কদের বিশৃঙ্খলায় গ্যালারি ছাড়ল ছাত্রীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জীবনে প্রথম বার বিধানসভার অধিবেশন দেখে হতাশ হয়ে মাঝপথেই চলে গেল একদল ছাত্রী। হোলি চাইল্ড স্কুলের দশম শ্রেণির ৮৬ জন ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিধানসভার দর্শকাসনে হাজির হয়েছিল। সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন শিক্ষিকাও। ছাত্রীরা স্বচক্ষে বিধানসভার অধিবেশন দেখবে এবং তাদের নতুন এক অভিজ্ঞতা হবে। এই আগ্রহেই তারা এসেছিল বিধানসভায়। কিন্তু বিধানসভায় নেতাদের কথাবার্তা শুনে ছাত্রীরা হতাশ হয়ে অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই চলে গেল!
বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এ দিন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া রাজ্যপালের বক্তব্যের উপর ভাষণ দিচ্ছিলেন। শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এর পরেই মানসবাবুর বক্তব্য নিয়ে ইইচই শুরু করে দেন শাসক দলের বিধায়কেরা। মানসবাবুকে পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছু চাঁছাছোলা শব্দ ব্যবহার করেন। বিধানসভায় এ ধরনের শব্দ ব্যবহার হচ্ছে শুনে ওই ছাত্রীরা দর্শকাসন ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
বিধানসভায় বিধায়কদের কথাবার্তায় তারা যে হতাশ, তা জানিয়ে পরে ছাত্রী পায়েল সরকার, সঞ্জনা মুখোপাধ্যায়, গৈরিকা সাহারা বলে, “বিধানসভার অধিবেশন দেখে আমরা হতাশ। এখানে কোনও শৃঙ্খলা নেই। বেশিক্ষণ এখানে থাকা যায় না!” এক ছাত্রী তো বলেই ফেলল, “পার্লামেন্টকে শূকরের খোঁয়াড় বলে লেনিন কিছু ভুল করেননি!” আর শিক্ষিকারা? বিধানসভার কোনও সদস্য এই ধরনের আচরণ করবেন তা তাঁরা ভাবতেই পারেননি বলে শিক্ষিকারা জানিয়েছেন।
ছাত্রীদের হতাশা বুঝে অধিবেশনের পরে শোভনদেববাবু বলেন, “শৃঙ্খলার ব্যাপারে স্কুলের ধারণার সঙ্গে বিধানসভার শৃঙ্খলা মেলে না। স্কুলে শিক্ষকরা এক ধমক দিলেই পড়ুয়ারা শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এখানে তা হয় না! আরও পরিণত হলে ছাত্রীরা ফারাকটা বুঝবে।” |
|
|
|
|
|