বামেদের মঞ্চে বাধা তৃণমূলের
বামেদের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচির মঞ্চ তৈরি ও মাইক বাঁধায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা নেতা সমর মাইতি খুনের ঘটনায় সিপিএম নেতা অশোক গুড়িয়া-সহ চার বামফ্রন্ট নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে তমলুক শহরের মানিকতলায় পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করেছিল জেলা বামফ্রন্ট। সকাল বেলা মঞ্চ বাঁধার সময় তমলুক শহরের কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী এসে মণ্ডপকর্মীদের মঞ্চ না বাঁধার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ের সামনে মাইক খুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব অভিযোগ করেন, ‘‘মঞ্চে টাঙানো ব্যানারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু কথা লেখা ছিল বলে সেই ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে আমি ফোন করে জানালে তিনিও তৃণমূলের নাম সরিয়ে ব্যানারের স্লোগান পাল্টে দিতে বলেন।”
তমলুকে বামেদের অবস্থান-বিক্ষোভ।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা বলেন, “পুলিশকে এই বিষয়ে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় মঞ্চের ব্যানারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা অংশ চাপা দিতে বাধ্য হই। সাংসদ অফিসের সামনে থেকে মাইক সরিয়ে নেওয়া হয়। তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায়ের বক্তব্য, “বামফ্রন্টের ব্যানারে আমাদের দলের নেতা খুনে অশোক গুড়িয়াকে গ্রেফতারের ঘটনায় তমলুকের সাংসদ ও পুলিশ সুপারের যোগসাজশের অভিযোগ করা ছিল। আমি সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্বকে শুধু ওই ব্যানারের লেখা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। মাইক খুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন।” জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিন জেলা বামফ্রন্টের অবস্থান-বিক্ষোভ সভায় সিপিএম নেতা রবীন দেব অভিযোগ করেন, “রাজ্যে ৩০ হাজার বামফ্রন্ট নেতা-কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুধু নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমাদের ৮ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলছে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সমর মাইতি খুনের ঘটনা তাঁর বাবা বাদল মাইতি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে জানালেও আমাদের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” এদিন জেলা বামফ্রন্টের অবস্থান-বিক্ষোভে ধৃত অশোক গুড়িয়া-সহ চার জন বাম নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি, সিপিআই জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন ঘড়া, আরএসপি জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতি প্রমুখ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.