শিল্ড ফাইনাল তো বটেই, সম্ভবত আই লিগের দ্বিতীয় পর্বেও আর খেলতে পারবেন না মহমেডানের মিডিও অ্যান্টনি সোরেন।
বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টনির ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়। ক্লাব সূত্রের খবর, শনিবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের কারণে অন্তত দু’মাস মাঠে নামতে পারবেন না অ্যান্টনি। সাদা-কালো কোচ সঞ্জয় সেন বললেন, “অ্যান্টনির জন্য খুব খারাপ লাগছে। ছেলেটা দারুণ ফুটবল খেলছিল। কিন্তু ওর যা অবস্থা, মনে হয় না আর এই আই লিগে ওকে পাওয়া যাবে।”
অ্যান্টনির চোট দুশ্চিন্তা বাড়ালেও, অসীম বিশ্বাসের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা স্বস্তি দিচ্ছে সঞ্জয়কে। শিল্ড সেমিফাইনালে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অসীমকে পাওয়া না গেলেও, ফাইনালে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিরুদ্ধে তাঁকে খেলতে দেখা যেতে পারে। |
শুশ্রূষা। মহমেডান প্র্যাকটিসে জোসিমার, নবি। বৃহস্পতিবার। ছবি: উৎপল সরকার। |
এ দিন অসীম পুরো অনুশীলনও করলেন যুবভারতীতে। মহমেডান কোচ বলছিলেন, “অসীম প্র্যাকটিসে নেমেছে। তবে ফাইনালে ওকে খেলানো যাবে কিনা, সেটা শুক্রবার ঠিক করব।”
এ দিকে, শিল্ড-ফাইনাল খেলতে নামার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অসম্ভব সতর্ক সঞ্জয়। বাংলাদেশের টিমকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না তিনি। বরং মহমেডান কোচের যুক্তি, “আমি তো শুরুতেই বলেছিলাম ধানমন্ডি খুব ভাল টিম। আই লিগের যে কোনও টিমকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তখন আমার কথা কেউ পাত্তা দেয়নি। ধানমন্ডিকে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে। তবে আমার ধারণা শনিবারের ফাইনাল দু’দলের মনস্তাস্ত্বিক যুদ্ধ হবে।” এ দিকে, মহমেডানের হয়ে খেলার জন্য এ দিন মাঠে নেমে পড়লেন জাপানের তারো হাসিগাওয়া। টোলগে ওজবের জায়গায় তাঁকে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আই লিগের জন্য। |