লিওনেল মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নেইমার বনাম গ্যারেথ বেল। জাবি আলোন্সো বনাম জাভি হার্নান্দেজ। মাঠ সাজবে মহাতারকাদের লড়াইয়ে। উদ্ঘাটিত হবে ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার আর এক পর্ব। কোপা দেল রে ফাইনালে বিশ্বফুটবল মাতবে ‘এল ক্লাসিকো’-এ। যখন ১৯ এপ্রিল মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ।
বুধবার রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে ১-১ ড্র করলেও দু’পর্ব মিলিয়ে ৩-১ জিতে কোপা দেল রে ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের জন্য ইনিয়েস্তা, পেদ্রো সহ মেসিকে নিয়েই আক্রমণ সাজান বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। ম্যাচ শুরুর থেকে বার্সা আক্রমণ ভাঙতে থাকে সোসিয়েদাদের আঁটোসাঁটো রক্ষণ। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি ম্যাচের ছবি পাল্টায়। চার সোসিয়েদাদ ডিফেন্ডার ঘিরে থাকলেও, বার্সা কেরিয়ারে নিজের ৩৩৫তম গোল করে বার্সেলোনাকে ১-০ এগিয়ে দেন এলএম টেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষে অ্যান্টয়ন গ্রিজম্যানের গোলে সোসিয়েদাদ ১-১ করলেও তা সান্ত্বনা পুরস্কার ছাড়া কিছুই ছিল না। কারণ প্রথম পর্বে বার্সেলোনা ২-০ জিতেছিল। |
ফাইনালে মুখোমুখি |
|
|
১৯৩৫-৩৬ রিয়াল ২ বার্সেলোনা ১
১৯৬৭-৬৮ রিয়াল ০ বার্সেলোনা ১
১৯৭৩-৭৪ রিয়াল ৪ বার্সেলোনা ০
|
১৯৮২-৮৩ বার্সেলোনা ২ রিয়াল ১
১৯৮৯-৯০ বার্সেলোনা ২ রিয়াল ০
২০১০-১১ বার্সেলোনা ০ রিয়াল ১ |
|
ম্যাচ শেষে এল ক্লাসিকো প্রসঙ্গে বার্সা কোচ মার্টিনো বলেন, “অনেক দূরে এখনও এল ক্লাসিকো ফাইনাল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ম্যাচ মানেই স্পেশ্যাল।” ১৯ এপ্রিলের ফাইনালে এগিয়ে কোন দল, সেই প্রসঙ্গে মার্টিনো যোগ করেন, “এখনই বলা মুশকিল যে কোন দল জিতবে। এর মাঝে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে দুই ক্লাবকেই। সব ফুটবলারকে দলে পাওয়া যাবে কি না, কারও চোট থাকবে কি না, তার উপরেই সব নির্ভর করছে।” মার্টিনোর সঙ্গে একমত দলের মাঝমাঠ তারকা সের্জিও বুস্কে বলেন, “খুবই কঠিন ফাইনালে ওঠা। কোনও ফুটবলার বা সমর্থকের জন্য খুবই ভাল একটা ম্যাচ হবে। কিন্তু এটা দু’মাস দূরে। তার আগে আমাদের ফোকাস করতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর লা লিগায়।” আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আবার বলেন, “আমি বলব না যে ফাইনালটা বদলার ম্যাচ। কিন্তু আর একটা খেতাব জিততে পারলে ভালই লাগবে।”
কোপা দেল রে ফাইনালের ইতিহাসের পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে যে, দুই ক্লাবই তিনটে করে ম্যাচ জিতেছে। এ বারের লড়াইয়ে কে টেক্কা দিয়ে যায়, এখন সেটাই দেখার। |