আইপিএল সেভেন নিলামে সিএবি-র সহ-সচিব থেকেও কেন কেকেআরে বাংলার প্লেয়ার সে ভাবে নেই, তা নিয়ে সিএবি-তে বিতর্ক নিলামের দ্বিতীয় দিনেও ধূমায়িত হল। এতটাই যে, সংস্থার গঠনতন্ত্র বদলে ফেলার কথাও ভাবা শুরু হয়ে গেল।
বুধবার বেঙ্গালুরুর নিলামে কেকেআরের টেবলে সিএবি সহ-সচিব জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি থাকা সত্ত্বেও কেন বাংলার প্লেয়ারদের কেকেআরে নেওয়া হল না, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সিএবি-সহ বাংলা ক্রিকেটমহলে। এ দিনও বলাবলি চলল, যে হেতু সিএবি-র পদাধিকারী একজন নিলামে ছিলেন, তাই বিতর্কের দায়টা সংস্থার উপরও পড়ছে। আরও মুশকিল, পদাধিকারীরা যে নিলাম বৈঠকে থাকতে পারবেন না, সে রকম কোনও আইনও নেই।
অতএব— গঠনতন্ত্র বদল।
সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের কেউ কেউ বলে দিলেন, এ বার হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে হবে না। গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে বলে দেওয়া হবে, সিএবি-র পদাধিকারী আইপিএলের কোনও টিমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকতে পারবেন না। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলে দিলেন, “ব্যাপার যে দিকে যাচ্ছে তাতে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, কী ভাবে সিএবি-র কেউ নিলাম টেবলে বসতে পারেন।” এ সব ডামাডোলের মধ্যে আবার নতুন সমস্যা তৈরি হল সিএবি-র আইপিএল কমিটির চেয়ারম্যান সৃঞ্জয় বসুকে ঘিরে। তিনি বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়াকে জানিয়ে দেন, চেয়ারম্যান পদে তিনি আর থাকতে চান না। কারণ কমিটিটার কোনও কাজকর্মই নেই। আর এমন নাম কা ওয়াস্তে কমিটি রাখারই কোনও দরকার নেই। সৃঞ্জয় বললেন, “গত তিন বছর ধরে এটা সিঙ্গল মেম্বার কমিটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কমিটি কিছুই জানে না, যে কমিটিকে কিছুই জানানো হয় না। তাই এ রকম কমিটিতে থাকার যুক্তি দেখিনি।”
|