‘হায়েস্ট পেইড’— এই তকমাটাই এক লাফে অনেকটা দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল, মনে করেন যুবরাজ সিংহ। এমনিতেই গেল, এবি ডেভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলিদের মতো ম্যাচ উইনারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ এসে যাওয়ায় তিনি বেশ উত্তেজিত। তার উপর এই বাড়তি তাগিদ এ বারের আইপিএল-এ নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন গত বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার।
গৌতম গম্ভীরকে যে দামে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেই ১১.০৪ কোটি টাকার রেকর্ড ছাড়িয়ে এ বার তিনিই আইপিএলের সবচেয়ে দামি তারকা। তাঁর পিছনে এত টাকা খরচ করাটা ঠিক হয়েছে কি না, তা নিয়েও দেশের ক্রিকেট মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এই নিয়ে যুবরাজের বক্তব্য, “এত টাকা দিয়ে আমাকে নেওয়া হয়েছে বলে নাকি প্রচুর আলোচনা চলছে। এর মানে টুর্নামেন্টে তুমি সব সময় ফোকাসে থাকবে এবং তোমাকে ম্যাচ জেতাতে হবে। দায়িত্ব তাই অনেকটাই বেড়ে গেল।”
|
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে খুশি যুবরাজ বলেন, “ক্রিস গেল, এবি ডেভিলিয়ার্স ও এক ঝাঁক দুর্দান্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আরসিবি-র হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে দারুণ খবর। মনে হচ্ছে এখানে নিজের সেরাটা মেলে ধরার সুযোগ পাব। গেল, এবি ছাড়াও এই দলে একা ম্যাচ জেতানোর মতো আরও কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে।”
আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে যুবরাজকে রাখা হলেও এশিয়া কাপের দলে তিনি নেই। সম্প্রতি তাঁর পারফরম্যান্সে তেমন ধারাবাহিকতা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নির্বাচকদের। সে জন্যই আইপিএলে এই ক্যানসার-জয়ী তারকা ক্রিকেটারের দর এত ওঠায় অবাক ক্রিকেটমহলের অনেকে। এখন অবশ্য আইপিএলের চেয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন যুবি। বললেন, “এখন আমার ফোকাস বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতেই। তার প্রস্তুতির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে যতটা পারি খেলছি। আশা করি ভালই হবে।”
কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার তাগিদ যে তাঁর নেই, তা স্পষ্ট জানিয়ে যুবি বলেন, “কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই আমার। যদি কিছু প্রমাণ করার থাকে, তা হলে তা নিজের কাছে। কে কী ভাবছে, তা জানার প্রয়োজন নেই। যে সুযোগটা পেয়েছি, তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এটাই এখন আমার কাজ।” |