|
|
|
|
ফুলের তোড়ায় পাওয়েলকে স্বাগত মোদীর
সংবাদ সংস্থা • গাঁধীনগর
১৩ ফেব্রুয়ারি |
ন’বছরের বয়কট শেষে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল।
আজ গাঁধীনগরে মোদীর বাড়িতে সেই বৈঠকের পরে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, মোদীর সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্ন, মানবাধিকার ও ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন পাওয়েল। আর গুজরাত সরকার সূত্রের দাবি, আলোচনায় ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে বিতর্কের কথা তুলেছেন মোদী। পাওয়েল আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।
মোদীর সঙ্গে পাওয়েলের বৈঠকের আগে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের হাল জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। বৈঠকে মোদী দেবযানী ছাড়াও জঙ্গিদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন বলে জানিয়েছেন গুজরাত সরকারের এক অফিসার। আবার পাওয়েল তুলেছেন আমূল ডেয়ারি ও পশুপালনের ক্ষেত্রে গুজরাতের উন্নতির কথা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উন্নতিতে ভারত ও আমেরিকা সহযোগিতা করছে। পশুপালনের ক্ষেত্রে গুজরাতের দক্ষতা আফগানিস্তানের কাজে লাগতে পারে। |
|
সৌজন্য। বৃহস্পতিবার গাঁধীনগরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি
পাওয়েলের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই। |
গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার জেরে নরেন্দ্র মোদীকে বয়কট করা আমেরিকা লোকসভা ভোটের ঠিক আগে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে তৎপর হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তীব্র হয়েছে। যদিও মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গত কালই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বৈঠকের সঙ্গে মোদীকে ভিসা না-দেওয়ার নীতি বদলের কোনও সম্পর্ক নেই। আজও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে ভারতের সব বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চান মার্কিন কূটনীতিকরা।
তবে একই সঙ্গে তাঁর তরফে এটাও বলা হয়েছে যে, লোকসভা ভোটে ভারতের জনগণ যে সরকারকেই নির্বাচিত করুন না কেন, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চায় আমেরিকা। কেউ কেউ যে মন্তব্যের ব্যাখ্যা করছেন এই ভাবে যে, মোদী শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর বয়কট করবে না মার্কিন প্রশাসন।
পাওয়েল-মোদী বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, আমেরিকা তাদের নীতি শুধরে নিয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। আগে ভারতের এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন সরকার। কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ বা আদালতের রায় মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয় না। জেটলির মতে, সংবাদমাধ্যম ও অন্য ক্ষেত্রে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অপপ্রচারের ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। ইউপিএ সরকারের বিদেশ মন্ত্রকও মোদীর মর্যাদা রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। এখন ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে ওয়াশিংটন নীতি বদলে ফেলেছে।
মোদী-পাওয়েল বৈঠককে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদের কথায়, “যখন মোদী মার্কিন ভিসা পাননি তখন আমরা কি আনন্দ করেছিলাম? তা না করে থাকলে এখন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে বিষণ্ণ হব কেন?” অরুণ জেটলির কটাক্ষ, “বোঝাই যাচ্ছে এই বৈঠকের খবরে বিদেশমন্ত্রী চাপে পড়েছেন।” |
|
|
|
|
|