|
|
|
|
উত্তর-পূর্বে বহিরাগতের ব্যবসায় জারি কার্ফু
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
১৩ ফেব্রুয়ারি |
মূল ভূখণ্ডে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদে চিনের পক্ষে স্লোগান উঠল আইজলে।
অন্যদিকে, ইম্ফলে ‘বহিরাগত’ ব্যবসায়ীদের উপরে ‘কার্ফু’ জারি করল মণিপুরের ছাত্রছাত্রীদের যৌথ মঞ্চ। শুধুমাত্র চেহারার জন্য উত্তর-পূর্বের মানুষকে যে ভাবে ‘চিংকি’, ‘চিনা’ বলা হয়, তার প্রতিবাদে ‘হ্যালো চিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে মিজো ছাত্র সংস্থা। গতকাল চিনের
পক্ষে স্লোগান দিয়ে এমজেডপি মিজোরামের রাজভবনের সামনে ধর্নাও দেয়।
দিল্লিতে নিহত নিদো টানিয়ার মা বলেছিলেন, “নিজভূমেও আমরা ভিন্দেশির মতো বাঁচি। এর চেয়ে তো চিনে চলে যাওয়াই ভাল।” মিজো ছাত্ররাও প্রশ্ন তোলেন, “উত্তর-পূর্ব কী আদৌ ভারতের অংশ? আমাদের সম্মতির তোয়াক্কা না-করে, মিজোরামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারপরও এমন অপমান সহ্য করতে হলে একে কেন নিজেদের দেশ বলে ভাবব?”
মিজো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জোডিনপুইয়া বলেন, “আমরা লালডেঙ্গার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এখনই শুরু করছি না। তবে, এমন জাতি-বিদ্বেষ চলতে থাকলে মনে হয়, আমাদের পড়শি দেশ, যেখানে আমাদের চেহারা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকবে নাসেখানে চলে যাওয়াই ভাল।”
মিজোরামের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবের পর, এখানকার ছাত্র সংগঠনও রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠাচ্ছে। সেখানে হুমকি দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে জাতি-বিদ্বেষীদের সাজা না দিলে এবং রাজ্যজুড়ে ভারত বিরোধী আন্দোলন শুরু করা হবে।
অন্যদিকে, মণিপুরে ছ’টি ছাত্রসংগঠনের যৌথ মঞ্চ রাজ্যে ‘বহিরাগত’ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘কার্ফু’ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি, মণিপুরের তিন ছাত্রকে দিল্লিতে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দু’টি মেয়েকেও মারধর করা হয়। ধর্ষণ করা হয় এক জনকে।
এ সবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে, সমস্ত বহিরাগত সংস্থা ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে যৌথ মঞ্চ। যার জেরে ইম্ফলের প্রায় সমস্ত বড় দোকান, রেস্তোরাঁ, বেকারি, সেলুন বন্ধ ছিল। ভয়ে, বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরাও কাজে যাননি। জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড রেভলিউশনারি ফ্রন্টও যৌথ মঞ্চের দাবিকে সমর্থন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আধাসেনা, মণিপুর রাইফেল্স জওয়নারা ইম্ফল জুড়ে টহল দিচ্ছেন। |
|
|
|
|
|