|
|
|
|
কারাটের স্বপ্নে কালো ঘোড়া তৃতীয় ফ্রন্টই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১৩ ফেব্রুয়ারি |
সংবাদমাধ্যম যতই এ বারের নির্বাচনকে মোদী বনাম রাহুলের লড়াই হিসেবে দেখাক, প্রকাশ কারাট মনে করছেন, লড়াইটা আসলে ত্রিমুখী। তৃতীয় ফ্রন্টের যথেষ্ট ভাল ফল হবে বলেই স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
আগের বারের মতোই এ বারও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক আঞ্চলিক দলগুলিকে একমঞ্চে নিয়ে এসে বিকল্প জোট খাড়া করার চেষ্টা করছেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী বনাম রাহুল গাঁধী নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। কারণ দেশের ভোটারদের একটা বড় অংশ কংগ্রেস জমানার অবসান চাইছেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় চাইছেন না।
সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই নীতীশ কুমার, মুলায়ম, নবীন পট্টনায়েক, দেবগৌড়া, জয়ললিতারা কারাটের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। কারাট জানিয়েছেন, ১১টি দলের ওই বৈঠক থেকেই জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। জোটের মূল কাঠামো, নীতি ও দিকনির্দেশিকাও ঘোষণা করা হবে ওই বৈঠক থেকে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোটের বাঁধুনি যে যথেষ্টই আলগা থাকবে, তা-ও মানছেন কারাট। তাঁর যুক্তি, “এই সব দলগুলির নিজেদের মধ্যে যে আসন সমঝোতা থাকতেই হবে, এমনটা জরুরি নয়। কারণ এখানে অধিকাংশই রাজ্যভিত্তিক দল।” |
|
কতখানি ভোট পাবে এই বিকল্প জোট? দলীয় মুখপত্র ‘পিপল্স ডেমোক্র্যাসি’-তে প্রকাশিতব্য এক নিবন্ধে প্রকাশ কারাট যুক্তি দিয়েছেন, গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনেই কংগ্রেস ও বিজেপি-র মিলিত ভোট ৫০ শতাংশের নীচে ছিল। ২০০৪-এর ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপির মিলিত ভোট ছিল ৪৬.৭ শতাংশ। ২০০৯ সালে ছিল ৪৭.৪ শতাংশ। তার পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলি যথেষ্ট ভোট পেয়েছে এবং সরকার গড়েছে। সেটাই কারাটকে আশা জোগাচ্ছে।
গত ৫ তারিখ ১১টি দলের নেতারা একত্র হয়ে সংসদে অভিন্ন গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার পর কারাটকেই সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প জোটের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন নীতীশরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অতীতে যে কাজটি করতেন কারাটেরই পূর্বসূরি, হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ। কারাটের বক্তব্য, কয়েক মাস আগে বিজেপি বা কংগ্রেস, কেউই এই জোট নিয়ে ভাবিত ছিল না। লড়াইটা কার্যকরী মোদী বনাম অপটু রাহুলের লড়াই হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। এর মধ্যে বিকল্প জোট এসে যাওয়ায় বিজেপির অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। তাই মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা বিকল্প জোটকে ‘থার্ড গ্রেড’ বলে আক্রমণ করছেন।
সিপিএমের অন্দরমহলের ব্যাখ্যা, সাধারণ সম্পাদকের নিবন্ধ থেকেই স্পষ্ট যে বিকল্প জোটের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে আটকানো। তবে ভোটের পরে বামেদের নেতৃত্বে এই বিকল্প জোট ফের কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াবে কি না, তা অবশ্য খোলসা করেননি কারাট। |
|
|
|
|
|