গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য বাজেটে কোনও বরাদ্দ না থাকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। ই এম বাইপাসের উপরে ওই নির্মাণকাজের খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছিল। এ বার বাজেটে ওই প্রকল্প বাবদ কোনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা পদস্থ সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের। মাঝপথে কাজ বন্ধ হলে শহরের যান -চলাচলে সমস্যা যে বাড়বে, তা আঁচ করে রীতিমতো আতঙ্কিত কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
অন্তর্বর্তী রেল বাজেট বুধবার পেশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে। আবার নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এগুলো লোক ঠকানোর কৌশল নয় কি?” বৃহস্পতিবার আবার মেট্রোর বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ না করা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এ দিন কলকাতার উন্নয়ন নিয়ে এক সেমিনারের সূচনা করেন ফিরহাদ। সেখানে অন্তর্বর্তী রেল বাজেটে চালু মেট্রো প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ না করা নিয়ে ফিরহাদ হলেন, “এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলার মানুষ নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। করবেও। নতুন সরকারে বাংলার গুরুত্ব বেশি থাকবে।” |
জোকা -বিবাদী বাগ মেট্রো নিয়েও এ দিন কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে এক হাত নিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ওই প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজও শুরু হয়েছিল দ্রুত। এখন প্রতিহিংসার কারণে ওই কাজের গতি রোধ করা হচ্ছে।” কেন্দ্রকে কিছু জানাবেন কি না জানতে চাইলে ফিরহাদ বলেন, “যাঁরা গদিতেই থাকবে না, তাঁদের সঙ্গে আর কথা বলে কী হবে।”
বাংলাকে এই বাজেটে বঞ্চনা করা হয়েছে, এমন অভিযোগের উত্তরে রেলকর্তারা জানিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। যে হেতু অন্তর্বর্তী বাজেট, তাই গোটা পরিকল্পনার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আলাদা করে প্রকল্প অনুযায়ী ব্যয়বরাদ্দ দেখানো হয়নি। যখন পূর্ণাঙ্গ বাজেট হবে, তখন বাজেট পুস্তিকায় বরাদ্দের বিশদ হিসেব পাওয়া যাবে। বাজেটের দিন রেলের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেছেন, “বাংলার কোনও প্রকল্প বাদও দেওয়া হয়নি। তবে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে সেই পরিমাণ বরাদ্দ করার চেষ্টা করা হয়েছে।” তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, যদি রাজ্যের সামগ্রিক খাতে টাকা বরাদ্দই হল, কার জন্য কত, সেটা মানুষকে না জানানোর অর্থ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। |