এগারো বছরের ছেলেকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ক্রিকেট অনুশীলনের সময়ে ওই ঘটনা ঘটে মেলবোর্ন থেকে একশো কিলোমিটার দূরের শহরতলি মর্নিংটন পেনিনসুলায়। ছেলেটির বাবা অবশ্য মানসিক রোগের শিকার বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশের গুলিতে পরে মারা যান বাবাও।
ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে সরাসরি লিউক ব্যাটির মাথায় মারে গ্রেগ নামে ৫৪ বছরের ওই ব্যক্তি। বুধবার সন্ধেবেলা মর্নিংটনের ট্যাবে দলের সঙ্গে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিল লিউক। এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা রোজি ব্যাটি প্রায় বাকরুদ্ধ। যখন লিউককে গ্রেগ মারছিলেন, রোজি কয়েক মিটার দূরেই ছিলেন। তাঁর কথায়, “রোজকার মতো সাধারণ প্র্যাক্টিস। কখনওই মনে হয়নি লিউকের জন্য কোনও বিপদ অপেক্ষা করে আছে।”
লিউকের বাবার সঙ্গে অবশ্য বহু দিন ধরেই থাকতেন না রোজি। জানতেন, তাঁর স্বামী মানসিক রোগী। হঠাৎ কখনও হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন। সব জেনেও ছেলের সঙ্গে ক্রিকেট অনুশীলনের সময়ে গ্রেগকে দেখা করতে দিয়েছিলেন তিনিই। এখন বলছেন, “ভাবতে পারিনি আমাদের একমাত্র ছেলের কোনও ক্ষতি হতে পারে।” রোজির দাবি, সে দিন লিউকই তাঁর কাছে এসে জানতে চায়, “বাবার সঙ্গে কিছু ক্ষণ থাকব আমি?” যে হেতু গ্রেগের সঙ্গে লিউক খুব অল্প সময়েই কাটায়, তাই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন রোজি। কিন্তু এখন আর কিছুই বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই মহিলা।
গ্রেগ ব্যাট দিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেছেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্রেগের কাছে ছুরিও ছিল বলে দাবি পুলিশের। পেপার স্প্রে ছিটিয়ে প্রথমে পুলিশ তাঁকে বাগে আনার চেষ্টা করে। তাতে লাভ না হওয়ায় শেষে গুলি চালায় পুলিশ। গ্রেগের বুকে গিয়ে গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। |