রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। যাতায়াত বন্ধ রাখার জন্য দু’প্রান্তের দু’টি গাছ থেকে রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে তার বেঁধে রাখা হয়েছিল। অন্ধকারে সেই রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাওয়ার সময়ে দেখতে পাননি ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার লস্করবাঁধ এলাকার হরনাথ দাস (২৮)। গলায় সেই তার লেগে মৃত্যু হল তাঁর। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে কাঁকসার দেউল এলাকায়। বাড়ি ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার লস্করবাঁধ এলাকায়। মৃতের শাশুড়ি হীরা দাস কাঁকসা থানায় ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার ডাঙাল এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরবাইকে চড়ে শাশুড়ি হীরাদেবীকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন হরনাথবাবু। দেউল থেকে এগারো মাইলের সংযোগকারী রাস্তা পাকা করার কাজ চলছে। সে জন্য ওই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ রাখতে রাস্তার দু’পাশের দু’টি গাছ থেকে তার বেঁধে রাস্তার উপর দিয়ে আড়াআড়ি টানা হয়েছে। দিনের বেলায় সহজেই তা নজরে আসে। কিন্তু সেখানে কোনও আলোর না থাকায় রাতের অন্ধকারে তার নজরে আসা বেশ মুশকিল। পুলিশের কাছে অভিযোগে হীরাদেবী জানিয়েছেন, মোটরবাইকে চড়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ তাঁরা পড়ে যান। দেখেন তার গলায় পেঁচিয়ে নাক-মুখ দিয়ে হরনাথের রক্ত বেরোচ্ছে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হরনাথবাবুর মৃত্যুর জন্য ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিই দায়ী বলে হীরাদেবীর অভিযোগ। এই ধরনের বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে বিপদ সঙ্কেত হিসেবে লাল রঙের ফিতে বা কাপড় ঝুলিয়ে রাখা হয়। দূর থেকে তা নজরে আসে। হীরাদেবীর দাবি, মোটরবাইকের আলোতেও তা রাতে নজরে আসে। কিন্তু এখানে তেমন ব্যবস্থা না থাকায় হরনাথের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। পুলিশ জানায়, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদার সংস্থার কারও সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
|