শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমিতে সংগঠনের কার্যালয় গড়েছে সিটু, এমনই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন এক আইএনটিটিইউসি কর্মী। ঘটনাটি দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার। সিটুর অবশ্য দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়েই অফিসটি গড়া হয়েছিল।
তৃণমূলের দাবি, সগড়ভাঙায় একটি বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানার জায়গায় ২০০৫ সালে কার্যালয়টি গড়ে তোলে সিটু। সেই সময়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুটের বিশাল অফিসটি গড়ে ওঠে। বুধবার অতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইএনটিটিইউসি কর্মী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) শিল্পের জন্য জমি দিয়েছিল। সেই জমিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষ করেন। কিন্তু তার পরেও বেশ কিছুটা জমি ফাঁকা রয়ে যায়। সেখানেই পার্টি অফিস গড়ে তোলে সিটু। অতীন্দ্রনাথবাবু বেআইনি ভাবে ওই পার্টি অফিসটি গড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সিটু নেতা তথা দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেন, কারখানা কতৃর্পক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়েই অফিসটি গড়া হয়েছিল। কারখানাটির সিটু কর্মী-সমর্থকেরা তিন দিনের বেতন দান করেছিলেন এই অফিস গড়তে। তবে এডিডিএ বা পুরসভার ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি তিনি। কারখানার ডিজিএম (পার্সোনেল) অর্ণব মিত্র জানান, তিনি সেই সময় পদে ছিলেন না। বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
|