মেয়েদের মন জয় করতে হলে কী কী চাই?

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
উপহার মানে মনের জিনিস: উপহার যে খুব দামি বা ব্র্যান্ডেড হতে হবে, তা নয়। কিন্তু উপহার দেওয়া ব্যক্তির মনটা যেন তাতে প্রতিফলিত হয়। সেন্সিটিভিটি আর সেন্সিবিলিটি ভীষণ জরুরি।

‘খামোশি’ বা ‘রোজা’র ট্র্যাক: মেয়েদের মন জেতার সেরা রাস্তা হল গান। গানের মধ্যে দিয়ে অনেক কথা সহজে বলে দেওয়া যায়। উপহার দেওয়ার সময় সেটা মনে রাখতে পারেন। ভাল হয় যদি মেয়েটির পছন্দের গানের একটা মিক্স সিডি করে দেওয়া যায়। আমি তো ভালবাসব যদি কেউ ‘ইয়ে হাসি ওয়াদিয়া’ বা ‘বাহো কি দরমিয়া’-র মতো আমার ভালবাসার গানের মিক্স সিডি করে দেয়। সঙ্গে হাতে লেখা একটা ভ্যালেনটাইন্স ডে কার্ড। র্যাক থেকে নামিয়ে নেওয়া কার্ড নয় কিন্তু।

হিউ গ্রান্টের সঙ্গে বিকেলটা: মনের টান থাকলে হোম থিয়েটারে ডিভিডি চালিয়েও দিনটা সেলিব্রেট করা যায়। আমি তো বিকেলটা হিউ গ্রান্টের ‘নটিং হিল’ দেখেও কাটিয়ে দিতে পারি।

অ্যাকোয়া বা লাইম: পারফিউমের ব্যাপারে আমি যে খুব ব্র্যান্ড কনসাস, তা নয়। তাই সন্ধেবেলা উপহার হিসেবে শ্যানেল, ডলচে গাব্বানা, সিকে যে কোনও ব্র্যান্ডের পারফিউমই দেওয়া চলতে পারে। তবে, আমার ক্ষেত্রে গন্ধটা ইম্পর্ট্যান্ট। ওটা অ্যাকোয়া বা লাইম হতেই হবে।

দু’জনে কানে: ভ্যালেনটাইন্স ডে-র দিন দু’জনে কোথাও ঘুরতে গেলে তো কথাই নেই। তবে দুই হৃদয়ের মধ্যে টান থাকলে যে কোনও জায়গাকেই আদর্শ রোম্যান্টিক প্লেস করে তোলা যায়। আমার পছন্দের কোনও রোম্যান্টিক ডেস্টিনেশনের কথা উঠলে, বলব কান। প্যারিসের কথা মাথায় রেখেও বলছি, সাউথ ফ্রান্সের এই শহরের মতো রোম্যান্টিক জায়গা আর দু’টো হয় না।
‘গন উইথ দ্য উইন্ড’

কোয়েল মল্লিক
এক গোছা গোলাপ: ভ্যালেনটাইন্স ডে-র উপহারে এক গোছা লাল গোলাপের থেকে আর কীই বা ভাল হতে পারে! আমার তো মনে হয়, সব মেয়েই এমন উপহার পেলে খুশি হবে। দামি কোনও গিফট দেওয়ার জন্য বাকি দিনগুলো আছে। বিশেষ দিনটা ক্লাসিকই থাকুক না।

ক্যান্ডেললাইট না, জন ডেনভার: আমি জানি না এটা শুনে লোকে কী ভাববে। আমার ক্যান্ডেললাইট ডিনার একদম ভাল লাগে না। বড্ড বেশি সাজানো মনে হয়। তার থেকে সিম্পল ডিনারই ভাল। আর সেই ডিনারের বাজবে আমার পার্সোনাল ফেভারিট জন ডেনভারের ‘ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস’।

মুভিনাইট: ভ্যালেনটাইন্স ডে-তে কোনও মেয়েকে খুশি করার আর একটা পথ আছে। রোম্যান্টিক মুভিনাইট। যে কোনও প্রেমের ছবি হোম থিয়েটার সিস্টেমে চালিয়ে পপকর্ন হাতে দু’জনে টিভির সামনে বসে পড়লেই হল। আমার তো ফেভারিট ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ বা ‘ক্যাসাব্লাঙ্কা’র মতো কোনও ক্লাসিক লাভ স্টোরি।

তারায় ভরা আকাশের নীচে দু’জন: ঘুরতে তো যে কোনও জায়গায় যাওয়া যেতেই পারে। তবে মনে রাখবেন, আজকের বিশেষ দিনে কোনও ক্রাউডেড প্লেস হলে চলবে না। এ দিনের জন্য আদর্শ নিরিবিলি কোনও বিচ। যেখানে শুধু সমুদ্র, তারায় ভরা আকাশ আর দু’জন। আমার তো এমনটাই ভাল লাগে।

পারফিউমে ক্রিশ্চিয়ান ডিওর: পারফিউমের ব্যাপারে মেয়েরা এমনিতেই বেশ খুঁতখুঁতে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। তাই আমাকে গিফ্ট দিতে হলে ক্রিশ্চিয়ান ডিওর-ই চাই।

অগ্নিমিত্রা পল
নদীর উপর সিরাজের কষা মাংস আর লাচ্চা পরোটা: ভ্যালেনটাইন্স ডে-র দিন উপহার দেওয়া মানে কিন্তু সারপ্রাইজ। তাই সেটা কোনও গিফ্ট না হয়ে, হতে পারে গঙ্গায় রিভার ক্রুজ। অল্প সময় না, কম করে ঘণ্টা দু’য়েক। খাওয়াটাও কিন্তু বেশ ভাল হতে হবে। সিরাজের কষা মাংস আর লাচ্চা পরোটা। সঙ্গে রেশমি কাবাব। ডেজার্টে থাকতেই হবে ফিরনি। সব কিছুই খুব পরিপাটি করে সাজানো।

ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘তুমকো দেখা তো’: শুধু রোম্যান্টিক নদী ভ্রমণ হলেই তো আর হবে না। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজাতে হবে। আমার জন্য জগজিৎ সিংহ। বেস্ট হয়, ‘তুমকো দেখা তো ইয়ে খয়াল আয়া’ বাজলে।

হোম থিয়েটারে ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’: রিভার ক্রুজের ব্যবস্থা যদি না করতে পারে, তা হলে কিন্তু হোম থিয়েটারে ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ দেখাতেই হবে আমাকে। অনেক দিন আগে সিনেমাটা দেখেছিলাম। কিছুতেই ওটার ডিভিডিটা পাচ্ছি না। তবে সে-ও যদি ডিভিডি-টা না পায়? ঠিক আছে, সেক্ষেত্রে ‘টাইটানিক’ও চলতে পারে।

পারফিউমে গ্রিন টি: পারফিউমের ব্যাপারে আমি একবগ্গা। ওটা দিতে হলে এলিজাবেথ আর্ডেনের ‘গ্রিন টি’-ই দিতে হবে। কখনও সখনও অন্য পারফিউম ব্যবহার করলেও, এখন আমার ফেভারিট এটাই।

মাসাই ভিলেজে ভ্যাকেশন: এত কিছু যদি না করে, তবে একটা জিনিস করতেই হবে। কেনিয়া-তানজানিয়ায় ভ্যাকেশনের ব্যবস্থা। মার্চে করলেও হবে। তবে কোনও ফাইভ স্টার হোটেল হলে চলবে না। আমার সঙ্গে মাসাইদের কোনও গ্রামে রাত কাটাতে হবে।

পার্নো মিত্র
দেবেই যখন, হিরে নয় কেন: কোনও মেয়েকে ‘উ’ করতে যা-ই দেওয়া হোক না কেন, তা যেন হৃদয় থেকে দেওয়া হয়। এটা মাস্ট। তবে আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, ভ্যালেনটাইন্স ডে-র দিন আমাকে যেন ডায়মন্ড দেয়।

আমি ভীষণ রোম্যান্টিক: ভ্যালেনটাইন্স ডে বলে নয়, রোম্যান্টিক গেট অ্যাওয়ে তো সব সময় ভাল লাগে। এমন দিন হলে তো কথাই নেই। আমার পছন্দ প্যারিস। কোথাও ভ্যাকেশনে যদি নিয়ে যেতে হয়, তবে প্যারিসেই যেতে হবে। অবশ্য, বাজেটে চাপ থাকলে গোয়াতেও আমার আপত্তি নেই।

ক্যান্ডেললাইট ডিনার আর জেমস ব্লান্ট: আর একটা সহজ টিপস দিতে পারি। শুধু আমাকে কেন, যে কোনও মেয়েকেই পটিয়ে ফেলা যায়, যদি ছেলেটা একটা ক্যান্ডেললাইট ডিনার অ্যারেঞ্জ করে। কোনও রেস্তোরাঁয় নয়, নিজের বাড়িতে। নিজে হাতে রান্না করতে হবে। সঙ্গে গিটার। নিজেই বাজাবে। জেমস ব্লান্টের কোনও গান। সঙ্গে ওয়াইন। সুপার্ব জমে যাবে।

‘স্লিপলেস ইন সিয়াটেল’: ডিনারের পরে একটা মুভি মাস্ট। সিনেমা হলে না। হোম থিয়েটারে। ‘স্লিপলেস ইন সিয়াটেল’।

দিনের শেষে লেডি মিলিয়ন: ভ্যালেনটাইন্স ডে-র শেষে যদি একটা পারফিউম দিতে হয়, তবে সেটা যেন হয় পাকো রাবানের লেডি মিলিয়ন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.