এখনও আইন পাশ হয়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। কিন্তু ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে গ্রামে যাওয়ার আতঙ্কে আগেভাগেই কাজ বন্ধ করে রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলে দিলেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নদের একাংশ।
জুনিয়র ডাক্তারদের একটি সংগঠন বুধবার তাদের ফেসবুক পেজে লিখে দেয় যে, মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র নির্দেশে ইন্টার্নশিপের পরে এক বছর গ্রামে কাজ করা বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকের সেই পোস্টের জেরেই এ দিন রাজ্যের একটি মেডিক্যাল কলেজে কাজ বন্ধ করে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এমনকী আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এ নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে একাধিক সংগঠন। হতভম্ব স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়ে দেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে।
এমবিবিএস পাশ করার পরে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করলে তবেই ডাক্তারেরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর পান। যাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়তে চান, তাঁদের জন্য ইন্টার্নশিপের পরে এক বছর গ্রামে কাজ করা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে বেশ কিছু দিন ধরেই ভাবনাচিন্তা করছে এমসিআই। গ্রামে চিকিৎসক-সঙ্কট মেটাতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নীতিগত ভাবে সহমত হলেও এখনও কোনও আইন পাশ হয়নি। তার আগেই এ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে কিছু ইন্টার্ন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে রোগীরা বিপাকে পড়েন। কলকাতা এবং অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে অবশ্য এখনও এর আঁচ পড়েনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে তো এই ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকাই আসেনি। আচমকা কী শুরু হল, বুঝতে পারছি না। এই নিয়ে সব কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করব।”
কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এ ভাবে ফেসবুকে বিষয়টি পোস্ট করা হল?
সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এক বার আইন পাশ হয়ে গেলে তখন তো আর আন্দোলন করে কিছু বদলানো যাবে না। তাই আগেভাগে জনমত তৈরির চেষ্টা চলছে।
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জয়গাঁয় এক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার মালবাজারের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনি উদ্বোধন করেন। বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভারত ভুটান সীমান্ত শহর ডুয়ার্সের জয়গাঁয় চিকিৎসার সমস্যায় পড়তে হত। এতদিন জ্বর সর্দি কাশি হলে কালচিনির লতাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেতে হত। যা ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। এ দিন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, এক জন চিকিৎসক, এক নার্স ও এক জন স্বাস্থ্য কর্মী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসবেন। |