নিম্নাঙ্গে গভীর ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক যুবক। বুধবার বিষ্ণুপুর শহরের ঘটনা।
ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করে স্ত্রী বঁটি নিয়ে তাঁর নিম্নাঙ্গে কোপ মেরেছে। এ দিন দুপুরে ঘটনার পরেও চার বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছেন ওই বধূ। বিকেলে বধূটির বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়ের উপরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ দায়ের করেন। রাতে যুবকের মা বধূটির বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে মিথ্যা সন্দেহ করা ও বঁটি নিয়ে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পড়শিরাই ৩৫ বছরের ওই যুবককে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিষ্ণুপুর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক শৈবাল বেরা তাঁর চিকিৎসা করেন। তিনি বলেন, “অনেকখানি কেটে গিয়েছিল। আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।”
বছর পাঁচেক আগে ওই যুবকের সঙ্গে বিষ্ণুপুর থানারই এক গ্রামের মেয়ের বিয়ে হয়। যুবকটির একটি দোকান রয়েছে। পড়শিরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। এ দিন কী হয়েছিল? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই যুবক দাবি করেন, তাঁর কোনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও স্ত্রী তাঁকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই অশান্তি হত। তাঁর অভিযোগ, “এ দিন দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ স্ত্রী আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেখি বঁটি নিয়ে আমার নিম্নাঙ্গে কোপ বসিয়েছে। যন্ত্রণায় জ্ঞান হারাই।” হইচই শুনে পড়শিরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। যুবকের আরও অভিযোগ, “বছরখানেক আগে শ্বশুরবাড়িতে একবার একই অভিযোগে গাছে বেঁধে আমাকে মারধরও করেছিল ওরা। কিন্তু স্ত্রী এ দিন এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ভাবতে পারিনি।” চেষ্টা করেও ওই বধূর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, স্ত্রীকে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রানিবাঁধ থানার শালবনি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, শিবাণী হেমব্রম নামে ওই বধূ সোমবার থানায় অভিযোগ করেন, প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের জামসেদপুরে কাজে গিয়ে তাঁর স্বামী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন। তার পরে স্বামী বাড়ি ফিরে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার তিনি স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই বধূটির স্বামী সঙ্গল সিং হেমব্রমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। বুধবার খাতড়া আদালত ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। |