মাসখানেক ধরে রাতের অন্ধকারে একটি বাগান থেকে কয়েকশো অর্জুন গাছ কেটে নিয়ে পালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে সেই গাছ পাচার চক্রে যুক্ত অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল হিড়বাঁধ থানার পুলিশ। আটক করা হল ৫২৫টি কাটা অর্জুন গাছ। হিড়বাঁধের পাকুরিয়া এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম হিতলাল সর্দার। তার বাড়ি পাকুরিয়া গ্রামে। বাড়ি থেকেই তাকে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হিড়বাঁধ থানার পুলিশবাহিনী এলাকার কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। সেই তল্লাশির সময় কেডিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক পরামানিকের বাড়ির চৌহদ্দি থেকে প্রায় ৬ ফুট লম্বা ও দুই থেকে চার ইঞ্চি ব্যাসার্ধের ৫২৫টি কাটা অর্জুন গাছ পাওয়া যায়। তবে মানিক পরামানিককে ধরা যায়নি। পরে পাশের গ্রাম পাকুরিয়া য় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ওই গাছ চুরি চক্রে জড়িত অভিযোগে হিতলালকে ধরা হয়। ধৃতকে বুধবার খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে সাত দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহরায় বলেন, “হিড়বাঁধের পাকুরিয়া এলাকার একটি বাগান থেকে বেশ কিছু দিন ধরে দুষ্কৃতীরা গাছ কেটে নিয়ে পালাচ্ছিল। ওই বাগানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় একটি মহিলা গোষ্ঠী সোমবার অভিযোগ করে। তদন্ত করে মঙ্গলবার একজনের বাড়ি থেকে ৫২৫টি কাটা অর্জুন গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গাছ কাটার অভিযোগে একজনকে ধরা হয়েছে।” এসডিপিও জানান, গাছ চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাগানে অর্জুন গাছ লাগিয়ে তসর গুঁটি চাষ করছেন স্থানীয় একটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা। ওই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকা শুকবালা হেমব্রমের অভিযোগ, “বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার কিছু দুষ্কৃতী গাছগুলি কেটে নিয়ে পালাচ্ছিল। এতে আমাদের প্রচুর টাকার ক্ষতি হল। তসর চাষ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাপক পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় আমাদের নজরে পড়েছে।” তিনি জানান, এরপরেই তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে ওই গাছ চুরি চক্রের পান্ডা হল মানিক পরামানিক। তার বাড়ি থেকেই এতগুলি গাছ উদ্ধার হয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। |