‘চাঁদের পাহাড়’ ছবি দুটি মানুষের পুরুষকার আর আফ্রিকার পটভূমিতে মহানায়িকা প্রকৃতির নানা রূপ ফুটিয়ে তুলেছে। কিন্তু দু-চারটি ক্ষোভের কারণ আছে।
বিভূতিভূষণের বই পড়ে ধারণা হতে পারে, রিখটার্সভেল্ড-ই চাঁদের পাহাড়। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে এ কথা বলেননি। সিনেমায় সে কথাই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল। সুপ্রাচীন কাল থেকেই রুভেনজোরি চাঁদের পাহাড় হিসেবে পরিচিত। আর তা হল উগান্ডা, কংগোর দিকে। অবশ্য চাঁদের পাহাড়ের অর্থ হতে পারে, চেনা পৃথিবীর বাইরে সুদূর, দুর্গম। যার দুর্বার আকর্ষণ টেনে নিয়ে যায় নির্ভীক অভিযাত্রীকে। তা হলেও একটি ক্যাপশন দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যটি জানিয়ে দেওয়া যেত। বিভূতিভূষণ বুনিপের কোনও ছবি ফুটিয়ে তোলেননি। একটি অজানা গরিলা জাতীয় প্রাণীর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অথচ সিনেমায় অবাস্তব সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর চেহারা স্পষ্ট দেখানো হয়েছে। |
Bat-eared fox, Serval ইত্যাদির অতি সুন্দর ক্লোজ আপ ক্যামেরাম্যানের মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। কিন্তু সিনেমায় দেখা গেল, গাছে বসা মানুষ আক্রমণের চেষ্টা করছে চিতা (লেপার্ড নয়), গাছে উঠতে পারছে না। আফ্রিকান চিতা মানুষখেকো নয় কখনওই। আর সে লেপার্ডের মতোই গাছে উঠতে পারে! বনবিড়াল Serval ছোট প্রাণী ধরে খায়, তারা কখনওই মানুষ আক্রমণ করে না। তারা দলবদ্ধ থাকে না। সিনেমায় দেখা গেল একাধিক Serval মানুষ আক্রমণে উদ্যত।
আর এল ব্রহ্মচারী। কলকাতা-৭৪ |