বাড়ি থেকে এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায় মৃত দম্পতির নাম বিশ্বনাথ ঘোষ (৫৯) ও বনানী ঘোষ (৫২)। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও জানান, ওই দম্পতির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে উল্লেখ আছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দম্পতি বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবং দুজনেই শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
পুলিশ জানায়, ক্ষুদ্র ও সেচ দফতরের কর্মী বিশ্বনাথ ঘোষ এক বছর পরে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে চিন্তায় ছিলেন এবং ধার-দেনা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বলে সুইসাইড নোট থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ দু’টি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে কিংশুক ঘোষ রামপুরহাট আদালতে ওকালতি করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি কিছু বলতে চাননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ ঘোষ জন্ম থেকে পোলিও আক্রান্ত।
নলহাটি-মুরারই সড়কের উপর পাইকপাড়া মোড়ে একটি লজ এবং হার্ডওয়ারের দোকান-সহ লজের নিচের তলায় ছোট ছোট ঘর দোকান হিসেবে ভাড়ায় দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পাইকপাড়া ও ডিহা গ্রামের মাঝে নলহাটি-মুরারই রাস্তার উপর একটি পেট্রোল পাম্পের কাজ শুরু করেছিলেন। এছাড়াও এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে বিশ্বনাথবাবু যুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে পরিচারিকা বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। তাঁর সাড়া না পেয়ে পাশের ঘরে তাঁদের ছেলেকে ডাকেন। পরে জানতে পারেন বিছানায় মৃত অবস্থায় ওই দম্পতি পড়ে আছেন। ঘরের ভিতর দু’টি জলের গ্লাস পাওয়া ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জলে কীটনাশক মিশিয়ে ওই দম্পতি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। |