ক্রুশবিদ্ধ থেকে যশরাজে
নেমন্তন্ন পেয়েছেন?
কীসের!

যশরাজের ছবি করছেন। রানি মুখোপাধ্যায় আপনার হিরোইন। বিয়ের নেমন্তন্ন পাননি?
হা হা হা। ওহ্ আচ্ছা। না, না, এখনও পাইনি। অনেকে বলছিল ওর আর আদিত্যর নাকি ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে। এই নিয়ে একদিন সেটে রানি খুব হাসাহাসিও করছিল। কিন্তু আমার তো শ্যুট আছে ওর সঙ্গে সেই সময়। ও কয়েকটা শোতেও যাচ্ছে। বিয়ে হলে বোধহয় জানতে পারতাম।

এ বার তা হলে বলুন এক্সপেরিয়েন্সটা কেমন?

দেখুন যশরাজের ছবিতে সাইন করার পর এটা আমার প্রথম ইন্টারভিউ। আমাকে মিডিয়া পাগল করে দিয়েছে। কিন্তু কনট্রাক্ট ছিল বলে কারও সঙ্গে কথা বলিনি। যেহেতু স্টোরিটা আনন্দplus-য়েই ব্রেক হয়েছিল, তাই এই প্রথম ইন্টারভিউ দিচ্ছি। এক কথায় বলতে গেলে যশরাজের কোনও ছবি করা ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স।

একটু পিছনে ফিরি যিশু। যশরাজের ছবি। আজ গ্যারেজে তিনটে বিদেশি গাড়ি। একটা সময় এগুলো তো স্বপ্ন ছিল আপনার কাছে?
স্বপ্ন? কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবিনি যশরাজের ছবি করব। কোনও দিন ভাবিনি যেখানে আমি মেকআপ করব, তার পাশের দু’টো মেক আপ রুমের বোর্ডে দু’টো নাম থাকবে রানি মুখার্জি আর আমির খান। একটা সময় ছিল যখন আমি, মা, বাবা, দিদি ক্যান্ডেললাইট ডিনার করতাম দু’মাস ধরে...

সেটা তো ভাল ব্যাপার।
আরে ওই ক্যান্ডেললাইট নয়। সিইএসই ইলেকট্রিক লাইন কেটে দিয়েছিল। দু’মাস বিল দেওয়া হয়নি বলে। এর মধ্যে অন্ধকারে খাওয়া-দাওয়া করাটা ক্যান্ডেললাইট ডিনার বলে নিজেদের মনে হাসতাম। কষ্টটা ভিতরে হত। মাংস পেতাম না, নিউট্রেলা রাঁধতেন মা। পাশের বাড়ি থেকে দিনের পর দিন খাবার আসত।

অনেক সময় তো পরের বেলা কী খাবেন, সেটাও জানতেন না। রান্নাঘর পুরো ফাঁকা...
হ্যাঁ, মনে আছে সেই দিনগুলো। সেখান থেকে এই জার্নিটা দেখলে ভীষণ অদ্ভুত লাগে। জার্নিটা একেবারেই সহজ ছিল না।
তার পর তো বাবা-মা একে একে চলে গেলেন?
হ্যাঁ, একটা সময় থাকে যখন বাবার সঙ্গে ছেলের একটা বন্ধুত্ব হওয়া শুরু হয়। আমার ঠিক তাই হয়েছিল। হয়তো দিন পনেরো এমন বন্ধুত্বের পরই বাবা চলে গেলেন। কয়েক বছর পরে মা চলে গেলেন। আসলে বাবা মারা যাওয়ার পরের দিন থেকেই, আই বিকেম আ ম্যান।

বুঝতে পারছি...
বাবাকে মিস করি । কিন্তু অদ্ভুত ভাবে মাকে মিস করি না। সর্বক্ষণ মনে হয়, মা রয়েছেন আমার সঙ্গে। তবে এটা মনে হয়, এক সময় ঝালমুড়ি কিনতে যাওয়ার সময় একশোবার ভাবতেন বাবা-মা। আজকে মনে হয়, ইস্... আজ বাবা-মা থাকলে দু’-তিন হাজার টাকার শুধু ঝালমুড়িই কিনে আনতাম ওঁদের জন্য।

একটু বর্তমানে ফিরি। যশরাজের অফারটা যখন পেলেন তখন কোথায় ছিলেন?
তখন আমি অঞ্জন দত্তের ‘শেষ বলে কিছু নেই’য়ের শ্যুটিং করছি। প্রদীপদা (প্রদীপ সরকার) ফোন করেন। মুম্বইতে একটা অডিশনের জন্য যেতে বললেন।
সেখানে শানু শর্মা বলে একজন অডিশন নিলেন। প্রদীপদা তখনও কিছু বলেননি। রাতে শানুজির ফোন এল। আমাকে বললেন, ‘যিশু ইউ আর আ পার্ট অব যশরাজ ফিল্মস। কনগ্রাটস্। ইউ আর প্লেয়িং দ্য লিড রোল অপোজিট রানি।’ আমি তো বুঝতেই পারছি না কিছু তখন। পরে শুনেছি রণবীর সিংহ, সুশান্ত সিংহদের প্রথমে অডিশন নিয়েছিলেন শানুজি।

তার পর?
তার পর সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপদাকে ফোন। বললাম, ‘তুমি আমাকে কিছু বলনি কেন আগে।’ তখন উনি বললেন, ‘যশরাজের কিছু প্রসিডিওর আছে, তাই বলতে পারিনি।’ তার পর নীলাঞ্জনাকে ফোন করি। এত বড় খবর চেপে থাকা যে কী কষ্টকর বুঝেছি আমি। বাপরে।

এটা তো হিউজ ব্রেক। যশরাজে অনেকেই কাজ করে, কিন্তু যশরাজের ব্যানারে রানি মুখোপাধ্যায়ের হিরোর রোলে মানে তো মালকিনের হিরো...
হা হা হা। বিশ্বাস করুন, রানি কিন্তু একেবারেই মালকিন মালকিন ভাব করে ঘুরে বেড়ায় না। ভীষণ ডাউন টু আর্থ। সেটে তো আমি ওর সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলি। রানির মা আর আমার শাশুড়ি, অঞ্জনা ভৌমিক অনেক দিনের বন্ধু। সেই একটা কানেকশনও বেরল শ্যুটিং করতে গিয়ে।

আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দেখা হল?
একদিন হয়েছে। প্যাম আন্টির সঙ্গেও দেখা হল। সে দিন একটা পুজো ছিল। খুব ব্রিফ কথা হল। এমন কিছু কথা হল, যাতে বুঝতে পারলাম, আদিত্য চোপড়া কেন আদিত্য চোপড়া। ওই মুহূর্তে কী নিয়ে কথা হচ্ছিল তা বলতে পারব না। পরে নিশ্চয়ই বলব।

আচ্ছা, একটু টলিউডে ফিরি। ‘জাতিস্মর’য়ে আপনার অভিনয়ের খুব প্রশংসা চারিদিকে। তারপর রানি মুখোপাধ্যায়ের হিরো। এটা কি তা হলে নতুন যিশু?
নতুন তো বটেই। আমি জানি আমার সময় এসে গিয়েছে। আবার করে আমি নিজের কেরিয়ারটা সিরিয়াসলি নেওয়া শুরু করেছি। আর এটা হয়েছে ঋতুদা (ঋতুপর্ণ ঘোষ) মারা যাওয়ার পর থেকেই। মারা গিয়েও ঋতুদা আমার উপকার করে গেলেন। আই মিস হিম এভরিডে। আমার সংসারের সব খুঁটিনাটি তো ঋতুদার সঙ্গে ডিসকাস করতাম। আমার আর নীলাঞ্জনার সব চেয়ে ভরসার জায়গা ছিল ঋতুদা।

একটু অস্বস্তিকর প্রশ্ন করছি। অনেকেই তখন বলত ঋতুপর্ণ ঘোষের বয়ফ্রেন্ডের নাম যিশু সেনগুপ্ত!
হ্যাঁ জানি, লোকে বলত এটা। আর এটা শুনে সব চেয়ে বেশি হাসত আমার স্ত্রী নীলাঞ্জনা আর ঋতুদা নিজে। আমার কাছের লোকেরা জানত আসলে ব্যাপারটা কী। তাই এ রকম কথাবার্তা আমাকে কোনও দিন বদার করেনি।
শুনেছি ঋতুদা মারা যাওয়ার পর আপনি নাকি সিভিয়ার ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন...
আই ওয়াজ ডিভাস্টেটেড। রোজ কাঁদতাম। বাবা-মা’র চলে যাওয়ার পর আর কারও মৃত্যু যে আমাকে এ ভাবে অ্যাফেক্ট করতে পারে, আমি বুঝতে পারিনি। দু’মাস পরে একদিন জি-র সুজয় কুট্টি আর নীলাঞ্জনা আমার ক্লাস নিল। সাইকোলজিকাল ক্লাস। তার পর ধীরে ধীরে নর্ম্যাল হলাম। যশরাজ-য়ের ছবি করছি শুনলে খুব খুশি হত ঋতুদা।

এটা তো আপনার প্রথম হিন্দি ছবি নয়?
না, তা নয়। কিন্তু যশরাজ-য়ের ছবিতে এক মিনিট মুখ দেখাতে পারলে মুম্বইয়ের অভিনেতারাই বর্তে যায়। সেখানে আমি তো ন্যাচারালিই এক্সাইটেড হব। তবে ভয়ে ভয়ে যে ছিলাম না, তা কিন্তু নয়।

কেন, কীসের ভয়?
মুম্বইয়ের ব্যাপারে আমার একটা জিঙ্কস আছে।

কী রকম?
এই ধরুন মহেশ মঞ্জরেকরের সঙ্গে একটা ছবি করার প্ল্যান হয়েছিল অনেক দিন আগে। প্রোডিউসর ছিলেন পূর্ণচন্দ্র রাও। সব ফাইনাল হয়েও ছবিটা হল না। তার পর ‘পহেলি’। অমল পালেকর আমার ডেট নিলেন। আমি সোহা আলি খানের সঙ্গে গিয়ে ফোটোশ্যুট করলাম।
দেড় বছর কোনও উচ্চবাচ্য নেই। একদিন শুনলাম শাহরুখ খান করছে ছবিটা। তা করতেই পারেন শাহরুখ। কিন্তু অমল পালেকরের সেই ভদ্রতাটুকু ছিল না যে আমাকে একবার জানানো উচিত। ‘কহানি’তে পরমের রোল আমাকে আগে অফার করা হয়েছিল। এখানে আর একটা জিনিসও বলি। পরম ‘কহানি’তে যে অভিনয়টা করছে, তা আমি যা করতাম তার থেকে অনেক ভাল। হি ওয়াজ ফ্যাবিউলাস। তার পর ‘বরফি’ করলাম। কিন্তু ‘মর্দানি’ ইজ আ মাচ বিগার রোল ফর মি।

সিসিএল-য়ের ম্যাচ কভার করতে এসে দেখছিলাম আপনার জীবনের স্টিয়ারিংটা পুরোটাই রয়েছে নীলাঞ্জনার হাতে।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, একেবারেই। ও যদি না থাকত, আমি আজও সেই শ্যুটিংয়ের পরে ‘মহারানি’-র সামনে আড্ডা মারতাম। ওকে আমি ভালবাসি খুব। কিন্তু বিয়ে করেছিলাম কারণ আমি সেলফিশ। আমাকে মা বলেছিল, তুই হিরো হতে চাস। তোর এখন ২৭ বছর বয়স। এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে তোর কোনও ক্ষতি হবে না তো! আমি মা-কে বলেছিলাম, মা, আমি হিরো কেন, কিছু হতে গেলেই আমার নীলাঞ্জনাকে লাগবে পাশে। ওকে ছাড়া আমি অন্ধ। আর নীলাঞ্জনাকে যখন বিয়ে করেছিলাম, তখন ও মুম্বই টেলিভিশনের স্টার। লোখন্ডওয়ালাতে বাড়ি। সেখানে আমার ব্যাঙ্কে শুধু ২৬০০০ টাকা। আই ও মাই লাইফ টু হার।

আচ্ছা, একটা ফেজ ছিল যখন যিশু ছিল ইন্ডাস্ট্রির সবার প্রিয় পাত্র, যার ব্যবহার ভাল, সে সবার বন্ধু কিন্তু বেচারির ছবি চলে না...
এটা একটা লম্বা ফেজ ছিল (হেসে)।

জানেন, আপনাকে আনলাকি যিশু বলা হত? মনে করা হত আপনি থাকলেই ছবি ফ্লপ করবে।
এটা আমি শুনেছি। আমাকে মুখের ওপর কেউ কোনও দিন বলেনি। কিন্তু হ্যাঁ, আমার কানেও এসেছিল কথাটা। যারা বলত কথাটা, তাদের একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আমার। আমাকে তো আনলাকি বলছ, কিন্তু তোমরা কি আমাকে চান্স দিয়েছ? দাওনি তো! আমাকে তো বাজে প্রোডিউসর, উইক ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে দিনের পর দিন। আমি তো কোনও রাজ চক্রবর্তী বা কমলেশ্বর পাইনি। তা হলে আমাকে আনলাকি বলো কী করে?

সেই ছবিগুলো কি শুধু টাকার জন্য করতেন?
বেশির ভাগ সময় না বলতে পারতাম না। এমন ছবি করেছি যে শুক্রবার রিলিজ হয়েছে, শনিবার ম্যাটিনির মধ্যে ছবি নেমে গিয়েছে। (হাসি) ‘লাভ’ বলে ভেঙ্কটেশের একটা ছবি করলাম। ওরা ছবিটা বোধহয় আগে দেখেই বুঝে গিয়েছিল চলবে না। তাই রিলিজের ৭ দিন আগে পর্যন্ত পোস্টারই ছাড়ল না বাজারে।

টেলিভিশনে আপনি সুপারস্টার স্টেটাস এনজয় করতেন। সেটা হঠাৎ একদিন ছেড়ে দিলেন কী ভাবে?
সেটা একটা অদ্ভুত গল্প। তখন ‘সাথী’ ছবির কাস্টিং চলছে। বুম্বাদার কাছে স্ক্রিপ্ট গিয়েছে। বুম্বাদা এটা নতুন কাউকে দিয়ে করানো উচিত বলে মণি-শ্রীকান্তকে আমার নামটা রেকমেন্ড করেছে। সে দিন এনটিওয়ানে মিটিং। আমাকে দেখেই মণি-শ্রীকান্ত বললেন, ইয়ে নহি চলেগা, ইয়ে বহুত ওভার-এক্সপোজড্ হ্যায়। ব্যস্, মিটিং শেষ। বোধহয় এক ঘণ্টা এনটিওয়ানের স্টুডিয়োতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলাম। সেদিন বাড়ি ফিরে টিভির প্রোডিউসরদের ফোন করি। বলি, ১৫ দিনের মধ্যে আমার ট্র্যাক অফ করতে হবে। আমি আর টিভি করব না।

আপনি তো জিতের খুব ভাল বন্ধু। এই গল্পটা জিৎ জানে?
না, বোধহয়। ‘সাথী’ জিতের ডেস্টিনি ছিল। আজকে বুঝি, ওই ওভার-এক্সপোজারের কথাটা না শুনলে আমি হয়তো কোনও দিন টিভি ছাড়তাম না। অদ্ভুত ঘটনা। সেখান থেকে যশরাজ-য়ের প্যাম্পারিং ভাবা যায় না!

কী রকম প্যাম্পারিং হয় যশরাজে?
ওটা এক্সপেরিয়েন্স না করলে বোঝা যাবে না। যত বার শ্যুটিংয়ের মাঝে কলকাতায় এসেছি, বিজনেস ক্লাসের টিকিটে। প্রথমে আমার মেক আপে ভ্যানে লেখা ছিল যিশু, একটা এস দিয়ে। আমি ওদের বলি আমি দু’টো এস লিখি। বিশ্বাস করবেন না,শ্যুট থেকে ফিরে দেখি নামটা চেঞ্জ করে দিয়েছে। তার পর ওদের স্টুডিয়োতে একজন অভিনেতাকে সর্বক্ষণ ফলো করছে সিকিওরিটি।

মানে?
আপনি যেই মেক আপ ভ্যান থেকে বেরোবেন, পাশে দাঁড়ানো একজন সিকিওরিটি স্টাফকে বলতে শুনতে হবে, ‘যিশুসাব আভি ভ্যান সে উতরে’। সিঁড়ি দিয়ে নামলে শুনবেন, ‘যিশুসাব আভি ফ্লোর মে পৌছ রহে হ্যয়’। এরকম দু’দিন হয়েছে। তৃতীয় দিন আমি প্রদীপদাকে গিয়ে বলেছি, ‘প্রদীপদা এই যিশুস্যর, যিশুস্যর— কেসটা বন্ধ করো প্লিজ, আমাকে আবার কলকাতা গিয়ে কাজ করতে হবে। এত প্যাম্পারিং সহ্য হবে না আমার। (হাসি)

আজ চারিদিকে আপনাকে নিয়ে এত প্যাম্পারিং। বড় প্রোডাকশন হাউজ মনে করে আপনার সময় এসে গিয়েছে, তখন কার কথা সব থেকে বেশি মনে বয়।
সত্যি বলব। এ-ক-দ-ম সত্যি...

হ্যাঁ, প্লিজ।
লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র কথা। লক্ষ্মী আমার অসম্ভব ভাল বন্ধু। আমার কেরিয়ারের শুরুটাও কিন্তু একসঙ্গে। শুরুতেই লোকেরা আমাদের নিয়ে মাতামাতি শুরু করল। তারপর দু’জনেই ক্রমশ পিছোতে লাগলাম। সবাই বলত, লক্ষ্মী দারুণ ছেলে, যিশু দারুণ ছেলে কিন্তু কিছুতেই ওর আর আমার কিছু হচ্ছিল না। আজকে আমি এই বয়সে আবার একটা চান্স পেয়েছি। কিন্তু বেচারা লক্ষ্মীর আর হাতে সময় নেই। খুব খুব কষ্ট হয় ওর জন্য।

কখনও এটা মনে হয় না, যদি আপনি প্রসেনজিতের পরের জায়গাটা নিতে পারতেন তা হলে আজকে পরম, আবির-দের পিছনে ফেলে দিতেন?
না, সে রকম মনে হয়নি। পরম, আবির আমার থেকে বড় স্টার। কিন্তু বাংলার মানুষ আমাকেও ভালবাসে। আমি আমার স্পেসে, ওরা ওদের স্পেসে।

‘চাঁদের পাহাড়’ দেখে আফসোস হয় না?
খুব হয়। ‘চাঁদের পাহাড়’ দেখে হয়। ফেলুদা দেখে হয়...

শেষে একটা অনুরোধ আছে।
হ্যাঁ, বলুন।

রানি মুখোপাধ্যায় আর আদিত্য চোপড়ার বিয়ের ডায়েরিটা আপনি আনন্দplus-রে জন্য লিখবেন, প্লিজ...
হা হা হা। যদি নেমন্তন্ন পাই, নিশ্চয়ই লিখব।
ছবি: কৌশিক সরকার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.