জরুরি বিভাগের সামনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রোগীর আত্মীয়দের গাড়ি। যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে রোগীদের ব্যবহৃত নানা জিনিস। এ ভাবেই চলছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলার নানা প্রান্ত থেকে আসা রোগী ও রোগীর আত্মীয়েরা।
মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতাল হল জেলার অন্যতম ব্যস্ত সরকারি হাসপাতাল। শুধু দুর্গাপুর শহর নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকী পাশের বাঁকুড়া, বীরভূম জেলা থেকেও প্রায় প্রতিদিনই এই হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন। ফলে হাসপাতাল চত্বরে সারাক্ষণই রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের ভিড় লেগে থাকে। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মধ্যে থাকা গাড়ি পার্কিং করার জন্য দু’টি ছাউনির মধ্যে একটি ছাউনি ভেঙে গিয়েছে। ফলে বহির্বিভাগ হোক কিংবা অন্তর্বিভাগ, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গার সামনেই রাখা থাকছে গাড়ি। সবথেকে বেশি সমস্যা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। এই বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা গিয়েছে সার দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে সাইকেল, মোটরবাইক, অটো, এমনকী চার চাকার গাড়িও। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোনও রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকতে অনেক সময় লেগে যায়। |
সমস্যা রয়েছে আরও। হাসপাতাল চত্বরেই এ দিক ও দিক পড়ে থাকছে রোগীর ব্যবহৃত জিনিস। জরুরি বিভাগের পাশে গিয়ে দেখা গিয়েছে সেখানে পড়ে রয়েছে রোগীদের ব্যবহার করা ব্যান্ডেজ, সিরিঞ্জ, ওষুধের বোতল, বিভিন্ন কাপড়ের টুকরো। পড়ে রয়েছে প্লাস্টিক। রোগীর আত্মীয়দের আশঙ্কা, এর ফলে যে কোনও সময়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় তরুণ পাল বলেন, “মাঝে মাঝে হাসপাতাল চত্বরে এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যে টেকাই দায় হয়।”
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, “হাসপাতাল চত্বর নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হয়। পার্কিংয়ের জায়গায় আগে এক জন পুলিশ ছিল। তখন রোগীর আত্মীয়দের জরুরি বিভাগের গেটের কাছে গাড়ি রাখা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন পার্কিং দেখভালের জন্য কোনও পুলিশ কর্মী নেই। হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরাই বিষয়টি দেখেন। পার্কিং দেখভালের জন্য পুনরায় পুলিশ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। |