|
|
|
|
চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত ধৃত খড়্গপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
চলন্ত ট্রেনের কামরায় এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে কুরলা থেকে সাঁতরাগাছিগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস খড়্গপুরে থামার পরে ওই তরুণী রেল পুলিশে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৌতম দাসকে গ্রেফতার করা হয়। বছর আটচল্লিশের গৌতমের বাড়ি সবংয়ের তেমাথানিতে। ধৃতকে আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে বেসরকারি সংস্থার কর্মী গৌতম টাটানগর থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। বছর একুশের ওই তরুণী ট্রেনে চাপেন ঘাটশিলা থেকে। তিনি ঘাটশিলারই বাসিন্দা। তবে পড়াশোনা করেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। মেচেদায় নামার কথা ছিল তাঁর। গৌতম এবং ওই তরুণী দু’জনেই সাধারণ কামরায় জায়গা না পেয়ে প্রতিবন্ধী কামরায় ওঠেন। ওই তরুণীর অভিযোগ, ঝাড়গ্রামে প্রতিবন্ধী কামরা ফাঁকা হয়ে গেলে গৌতম তাঁর শ্লীলতাহানি করে। ওই তরুণীর কথায়, “আমি মেচেদা যাচ্ছিলাম। অন্য কামরায় জায়গা না থাকায় প্রতিবন্ধী কামরায় উঠি। ওই লোকটির কাছাকাছি বসেছিলাম। কিছুক্ষণ সাধারণ কথাবার্তাও হয়। ঝাড়গ্রামে ট্রেন ফাঁকা হতেই লোকটি অশালীন আচরণ শুরু করে দেয়।”
প্রতিবন্ধী কামরাটি ট্রেনের অন্য কামরার থেকে বিচ্ছিন্ন। ‘ভেস্টিবিউল সিস্টেম’ না থাকায় অন্য কামরা থেকে প্রতিবন্ধী কামরায় যায়াতায়াত করা যায় না। তাই ঘটনার সময় বিষয়টি টের পাওয়া যায়নি। ট্রেন খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছলে ওই তরুণী প্ল্যাটফর্মে নেমে চিৎকার করেন। অন্য কামরার যাত্রীরা চলে আসেন। দু’জনকেই খড়্গপুর স্টেশনে নামানো হয়। আরপিএফ এসে অভিযুক্তকে আটক করে। পরে ওই তরুণী শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করলে গৌতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কয়েক মাস আগেই আমদাবাদ এক্সপ্রেসে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল রেলেরই টিকিট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে। তারপরেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না? খড়্গপুর ডিভিশনে রেল পুলিশের আইসি আশিস রায় বলেন, “মহিলা কামরাগুলিতে সব সময় নজরদারি থাকে। তবে কর্মীর অভাবে সব কামরায় নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয় না।” খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “ট্রেনে নিরাপত্তারক্ষী থাকে। তবে এটা ঠিক সব কামরায় একই সঙ্গে নজর রাখা সম্ভব হয় না।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলে আরপিএফের ৩৫ শতাংশ পদই শূন্য। কিছু দিন আগে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, সারা দেশে ১৩ হাজার আরপিএফের শূন্যপদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। |
|
|
|
|
|