টুকরো খবর |
অসম বিধানসভার অধিবেশনে হাঙ্গামা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
১০ ফেব্রুয়ারি |
এ বারও বিধানসভার অধিবেশনে নিজের ভাষণ পাঠ করতে পারলেন না রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পট্টনায়ক। বিরোধীদের বাধাদানে দু’মিনিটের মধ্যে বক্তৃতা শেষ করে বেরিয়ে পড়েন তিনি। আজ শুরুতেই রাজ্যপাল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের কথা বলতেই গোলমাল শুরু করেন বিরোধী বিধায়করা। পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, পেশ করা হবে ভোট-অন-অ্যাকাউন্টস। তা নিয়ে অবশ্য বিধানসভায় বিশেষ কোনও চর্চা আজ শোনা যায়নি। সবাই বরং উৎসুক ছিলেন রাজ্যসভা নির্বাচনের পর বিরোধী বেঞ্চের ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের অবস্থান দেখতে। এআইইউডিএফ থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া আজ সভায় হাজিরই হননি। যাননি তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক দীপেন পাঠকও। অগপ-র বহিষ্কৃত বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা নিজের আসনে গিয়ে বসলেও দলের কেউ তাঁর সঙ্গে কথা না-বলায় তিনি কিছুক্ষণ বসে থেকে বেরিয়ে পড়েন।
|
নোটিস তথ্য কমিশনের
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১০ ফেব্রুয়ারি |
তথ্যের অধিকার আইন কার্যকর করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। গত বছরে কমিশন জানায়, রাজনৈতিক দলগুলি পরোক্ষে হলেও সরকারি সুবিধা ভোগ করে। তা-ই তারা সরকারি কর্তৃপক্ষের সমতুল্য। সে জন্য তারাও তথ্য আইনের আওতায় পড়ে। কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই ও বিএসপি-র কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে চান তথ্যের অধিকার আন্দোলনের কর্মী সুভাষ অগ্রবাল এবং অনিল বাইরওয়াল। কিন্তু নিজেদের আর্থিক অবস্থা, দান হিসেবে পাওয়া অর্থের পরিমাণ, অর্থদাতাদের নাম-ঠিকানার মতো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি দলগুলি। জানানো হয়, তারা তথ্য আইনের আওতায় পড়ে না। অগ্রবাল জানান, সংবিধান ও আইনে তাদের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারা তথ্য জানানোর দায় এড়াতে পারে না। অগ্রবালের যুক্তি মেনে নেয় তথ্য কমিশন। দলগুলিকে তথ্য আইনের আওতা থেকে ছাড় দিতে অর্ডিন্যান্স আনতেও উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। পরে সে পরিকল্পনা বদলে সংসদে বিল এনে তথ্য আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত অধিবেশনে সেই বিল পেশ করার কথা থাকলেও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে ফের কমিশনের দ্বারস্থ হন সুভাষ অগ্রবাল।
|
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর হানা
সংবাদ সংস্থা • দেহরাদূন
১০ ফেব্রুয়ারি |
রাজ্যের সর্বত্র ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা জানতে মাঝ রাতে হাসপাতাল, থানা, রেলস্টেশনে হানা দিচ্ছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। দেখেছেন, স্টেশনে যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট সুবিধার ব্যবস্থা নেই। দুন হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। কোতওয়ালি থানায় মাত্র এক জন মহিলা কনস্টেবল। এ সবে যারপরনাই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণার পরিবর্তে ২ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বভার এসেছে রাওয়াতের হাতে। সব খামতি দূর করতে তাঁর এই পদক্ষেপ।
|
কানপুরে গণধর্ষণ |
ছোট বোনকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করা হল বড় বোনকে। কানপুরের মুসানগর এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধেবেলা ওই মাঠে ঘুরতে গিয়েছিল দুই বোন। এক জনের বয়স ১৪। অন্য জনের ৭। অভিযোগ, সেখান থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় ওই গ্রামেরই পাঁচ বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, বড় বোনকে পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করে গ্রামের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয় তারা। পালিয়ে যাওয়ার আগে ছোট বোনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড় বোন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পরিবার।
|
ফের সুযোগ |
ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। সাধারণ পরীক্ষার্থীরা এত দিন মোট চার বার এই পরীক্ষায় বসতে পারতেন। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া অনুমোদনের পরে আরও দু’বার ইউপিএসসি দিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তাই সব মিলে মোট ছ’বার পরীক্ষা দেওয়া যাবে। ২১ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এই পরীক্ষায় বসা যায়। আরও দু’বার পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বয়সসীমাতেও ছাড় দেওয়া হবে বলে কর্মিবর্গ দফতর সূত্রে খবর। তবে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তরা যত বার খুশি এই পরীক্ষায় বসতে পারেন।
|
ধর্ষক বাবা |
বেঙ্গালুরুর ফরাসি দূতাবাসের এক অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জ গঠন হল সোমবার। পাসকাল মাজুরিয়ে নামে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারই সাড়ে তিন বছরের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারিণী শিশুটির মা, পাসকালের স্ত্রী সুজা। তিনি কেরলের মেয়ে। ২০১২ সালে গ্রেফতার হন পাসকাল।
|
শিশু নিগ্রহ |
তিন বছরের শিশুকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বছর বারোর একটি ছেলেকে। উত্তর বেঙ্গালুরুর ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার ছেলেটি বাড়িতে নিয়ে আসে মেয়েটিকে। তারা পাশাপাশি থাকে। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশে খবর দেন মেয়েটির বাবা-মা। |
|