আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কোচবিহার ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজিক্যাল কলেজের পঠনপাঠন চালুর চেষ্টা করা হবে বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার কোচবিহারের হরিণচওড়ায় কলেজের নির্মাণ কাজের সূচনা করেন মন্ত্রী। তিনি এই দিন বলেন, “সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উত্তরবঙ্গে শুধু জলপাইগুড়িতে আছে। কোচবিহারে আরও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চালু হবে। দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ কাজ হবে। এক বছরের মধ্যে কলেজ পুরোপুরি তৈরি না হলেও পঠনপাঠান চালু হবে বলে আশা করছি।” তিনি জানান, কলেজটি চালু হলে শিক্ষার ক্ষত্রে কোচবিহার জেলা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জেলায় ইতিমধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। এ বার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হচ্ছে। পরে একটি মেডিক্যাল কলেজও তৈরি করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কলেজের ভবন তৈরির জন্য ২০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ওই টাকায় ভবন তৈরি ছাড়াও সীমানা পাঁচিল এবং ৫০০ জন ছাত্র রাখার মতো একটি হস্টেল তৈরি করা হবে। মন্ত্রী জানান, টাকা যতই প্রয়োজন হোক তা জোগাড় করা হবে। বাম সরকারের সময়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠলেও কিছুই হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “উচ্চশিক্ষায় জেলার ছেলেমেয়ে বঞ্চিত হবে না।”
এ দিন সকালে তুফানগঞ্জের ধলপলে গদাধর একটি সেতুর উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ ঊন্নয়ন মন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় একটি সেতুর দাবি তুলেছিলেন। কালজানি নদীতেও ১৯ কোটি টাকায় সেতু তৈরি করা হবে বলে এ দিন মন্ত্রী জানান। হরিণচওড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তৃণমূল সমর্থক বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। ওই গাড়িতে মহিলা, পুরুষ সহ ৪২ জন ছিলেন। সবাই জখম হন। হাসপাতালে যাওয়ার পর আবদুল মজিদ (৪২) নামে এক তৃণমূল সমর্থক মারা যান। তাঁর বাড়ি কোতোয়ালির বালাসিতে। গাড়িটি দেওয়ানহাট থেকে হরিণচওড়া যাচ্ছিল। পকে কালাচাঁদের মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। জখমদের দেখতে হাসপাতালে যান মন্ত্রীরা। |