দোকান বিক্রি করে কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা সদর মহকুমা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলা সদরের ঢাংঢিংগুড়ি, রাজারহাট, ঘুঘুমারি, পুন্ডিবাড়ি, সুটকা বাড়ি ও চান্দামারিতে ৯৫টি দোকান তৈরির কাজ কয়েক বছর আগে শেষ হয়েছে। তবে নানা সমস্যায় তা বিক্রি করা যায়নি। গত ১৬ মাসে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কর্মীদের বেতন বাবদ বকেয়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মেটাতে ওই সব দোকান ঘর বিক্রিতে জোর দিয়েছেন সমিতি কর্তারা। এতে বকেয়া বেতনের ৩০ শতাংশ মেটানো যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব দোকান ঘর বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় ল্যান্সডাউন হলে ঢাংঢিংগুড়ি ও রাজারহাটে পড়ে থাকা যথাক্রমে ৮টি এবং ১৩টি দোকান লটারি করে গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়। সদরের মহকুমাশাসক তথা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান বিকাশ সাহা বলেন, “কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটাতে দোকান ঘর বিক্রির বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে আশা করছি। সম্প্রতি দু’টি এলাকার দোকান বিক্রি করে ৩০ লক্ষ টাকার সংস্থান করা গিয়েছে।”
নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাংঢিংগুড়িতে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ৮টি দোকান ঘর নির্মাণের কাজ অন্তত চার বছর আগে শেষ হয়। রাজারহাটে ১৫ লক্ষ টাকায় ১৩টি দোকান তৈরির কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। দোকান ঘরের সংখ্যার তুলনায় ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তা বিক্রি নিয়ে জটিলতায় উদ্যোগ থমকে গিয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা ব্যবসায়ী নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে লটারির মাধ্যমে প্রাপক তালিকা চূড়ান্ত করেন। নিয়িন্ত্রিত বাজার সমিতির কয়েক জন কর্তা জানান, ৮টি দোকান ঘরের জন্য ৪০টি এবং ১৩টি ঘরের জন্য ৩৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। একই ভাবে ঘুঘুমারিতে পাটি শিল্পীর জন্য নির্মিত ২০টি, পুন্ডিবাড়ি বাজার এলাকায় ৩০টি দোকান অব্যবহৃত পড়ে আছে। সুটকাবাড়িতে সাত বছর ধরে পড়ে থাকা ১২টি দোকান ঘরের কয়েকটি বেদখল হওয়ায় তা বিক্রির উদ্যোগ আটকে গিয়েছে। জটিলতার জেরে চান্দামারিতেও দোকান বিক্রি হয়নি। সমিতির এক কর্তা বলেন, “সমিতির আয় বাড়ানোর ভাবনা থেকে দোকান তৈরি করা হয়েছিল। ২০১০ সাল থেকে বেতনের জন্য জরুরি টাকার তুলনায় রাজস্ব কম আদায় হওয়ায় ফি মাসে বেতন বিলি পিছিয়ে যায়।” |